সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুণের (Pune) পোর্শেকাণ্ডে ভয়ংকর তথ্য প্রকাশ্যে এল। আগেই অভিযোগ উঠেছিল, ধৃত ফরেন্সিক বিভাগের প্রধন অজয় টাওয়ার ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কিশোরের রক্তের নমুনা বদলে ফেলেন। এবার জানা গেল,কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি! এই কারণে পুরনো কর্মস্থল সসুন হাসপাতাল থেকে বহিস্কৃত করা হয় তাঁকে।
২০২২ সাল। সেই সময় সসুন হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট অজয়। একটি ক্লিনিকে অবৈধভাবে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয় বলে অভিযোগ। এর জন্য এক মহিলার থেকে ১৫ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় অজয় যুক্ত অভিযোগ ওঠে। এর পরেই তাঁকে মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্টের পদ থেকে সরানো হয়। যদিও ২০২৩ সালের শেষে একই পদ ফেরানো হয় তাঁকে। একটি সূত্রের দাবি, ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির (NCP) বিধায়ক সুনীল টিংরের সুপারিশপত্রের জোরেই পুরনো পদে বহাল হন অজয়। শরদ পওয়ার গোষ্ঠীর বিধায়ক সুনীলের সুপারিশপত্র সমাজমাধ্যমেও ঘুরছে। (সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল)।
পোর্শেকাণ্ডে যড়যন্ত্রের দায়ে অজয় টাওয়ার ছাড়াও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ শ্রীহরি হালনোর এবং অতুল ঘাটকাম্বলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে কিশোরের রক্তের নমুনা বদলে ফেলার অভিযোগ। উল্লেখ্য, ১৯ মে পুণেতে একটি পোর্শের ধাক্কায় দুই তরুণ ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল ১৭ বছরের কিশোর। ইতিমধ্যে এই ঘটনা কিশোর তার বাবা, দাদু এবং তিন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.