ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুণের পোর্শে দুর্ঘটনার তদন্তে ফের উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, নাবালক চালককে বাঁচানোর জন্য় রক্তের ভুয়ো নমুনা দিয়েছিলেন তার মা। সেই নমুনা পরীক্ষা করেই ফরেন্সিক রিপোর্ট তৈরি হয়, যেন প্রমাণ করা যায় যে দুর্ঘটনার সময়ে নাবালক চালক মদ্যপ ছিল না। আপাতত ওই নাবালকের মা পলাতক বলেই জানা গিয়েছে।
পোর্শে দুর্ঘটনার তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। পুণের (Pune) পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার জানান, সাসুনের সরকারি হাসপাতালে অভিযুক্ত নাবালকের রক্তের নমুনা পরীক্ষার কথা ছিল। সেই মতো নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু সেই নমুনা ফরেন্সিকে পাঠানোর বদলে ডাস্টবিনে ফেলে দেন শ্রীহরি হালনোর নামে এক কর্মী। হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান অজয় তাওড়ের নির্দেশেই এই কাজ করেন শ্রীহরি। তদন্তে নেমে এই দুই ব্যক্তিকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তাদের জেরা করেই উঠে এসেছে অভিযুক্ত নাবালকের মা শিবানী আগরওয়ালের নাম। পুণে পুলিশের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ঘটনার পরে বদলে দেওয়া হয়েছিল রক্তের নমুনা। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজেও রক্তের নমুনা ফেলে দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। অন্য কারোর রক্ত পরীক্ষা করে সেই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে, আসলে শিবানীর রক্ত পরীক্ষা করেই রিপোর্ট তৈরি হয়। কিন্তু দুই চিকিৎসকের গ্রেপ্তারির পর থেকে পলাতক শিবানী।
প্রসঙ্গত, পুণের দুর্ঘটনার পরে নাবালককে বাঁচাতে গাড়ির ড্রাউভারের উপর দোষ চাপাতে চেয়েছিল গোটা পরিবার। তারা চেয়েছিল, গোটা ঘটনার দায় নিক পোর্শে গাড়ির চালক। তাঁর ফোন কেড়ে নিয়ে একটি বাংলোয় আটকে রেখেছিলেন নাবালকের বাবা ও দাদু। পরে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁদের। রক্তের নমুনা পালটে দেওয়ার জন্য গ্রেপ্তার হয়েছেন দুই চিকিৎসক। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কোনও প্রভাবশালীর যোগ থাকতে পারে কিনা, চলছে তদন্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.