দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: গঙ্গাসাগর মেলার সময় করোনার (Coronavirus) কারণে বাড়িতেই মিলেছে সাগরসঙ্গমের জল। দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলা প্রশাসন এই পবিত্র জল পৌঁছে দিয়েছে অর্ডার করা মাত্রই। কুম্ভমেলাতেও শুরু একই পরিষেবা। ফোন করলে বাড়িতে বসেই মিলছে হরিদ্বারের পূর্ণকুম্ভের জল। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ জল পাওয়ার জন্য টেলিফোনে যোগাযোগ করেছেন হরিদ্বারের বিভিন্ন আশ্রমে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনের তরফে এবছর প্রায় ২ লক্ষ মানুষের কাছে কুরিয়ারের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে গঙ্গাসাগরের পবিত্র জল। প্রতি ইউনিট জল বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নেওয়া হয়েছে মাত্র দেড়শো টাকা। স্বল্প ব্যায়ে জল পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি আমজনতা। কিন্তু হরিদ্বারের এই পূর্ণকুম্ভের জল পেতে খরচ করতে হচ্ছে তার থেকে কয়েক গুণ বেশি টাকা। জলের একটি প্যাকেটের জন্য ২১০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে পুণ্যার্থীকে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তা নিয়ে বিজ্ঞাপন শুরু হয়ে গেছে। তবে জল পাঠানোর বিষয়ে হরিদ্বার প্রশাসন উদ্যোগী হয়নি।
জানা গিয়েছে, বিভিন্ন আশ্রমের মুনি-ঋষিরাই মূলত জল সরবরাহ করছেন। নির্দিষ্ট টেলিফোন নম্বরে ফোন করে কী কারণে এই জল সংগ্রহ করছেন সেটা বিস্তারিত জানাতে হচ্ছে গ্রাহককে। ইতিমধ্যেই সারা ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জল পাওয়ার জন্য বহু মানুষ আবেদন করতে শুরু করেছেন বলে দাবি এক আশ্রমের। গঙ্গাসাগরের ধাঁচে কুম্ভের জল মিলছে, করা যাবে ই-স্নান, এ কথা শুনেই আপ্লুত দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি. উলগানাথান। এ বিষয়ে জেলাশাসক বলেন, “আমরাই প্রথম গঙ্গাসাগরে ই-স্নান শুরু করেছিলাম। যে পরিকল্পনা আজ কুম্ভমেলা গ্রহণ করল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.