সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদিবাসীরাই দেশের আসল মালিক। কোনও গণ্ডির মধ্যে তাঁদের আটকে না রেখে সমস্ত অধিকার দিতে হবে বলে সওয়াল করলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ওয়ানড়ে (Wayanad) দাঁড়িয়ে আদিবাসীদের অধিকার নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, চলতি বাদল অধিবেশনেই নতুন বন সংরক্ষণ বিল পাশ হয়েছে লোকসভায়। বিতর্কিত এই বিলটি আইনে পরিণত হলে অরণ্যের অধিকার খর্ব হবে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
রবিবার ওয়ানড়ে একটি হাসপাতালের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন কংগ্রেস (Congress) সাংসদ। সেখানেই আদিবাসীদের অধিকার নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, “দেশের নানা প্রান্তে ঘুরেছি আমি, আদিবাসী ভাই-বোনদের সঙ্গে কথা বলেছি। ‘আদিবাসী’ শব্দটির অর্থ হল জমির আসল মালিক। অর্থাৎ দেশের আসল মালিকানাও তাঁদের। তাই জমি ও অরণ্য-সমস্ত ক্ষেত্রেই তাঁদের অধিকার থাকা উচিত। নিজেদের জীবনের স্বপ্নগুলো সফল করার অধিকার থাকা উচিত তাঁদেরও।”
দিনকয়েক আগেই লোকসভায় (Loksabha) পাশ হয়েছে বন সংরক্ষণ বিল। ১৯৮০ সালের বন সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, বনভূমি এলাকায় কোনও ধরনের প্রকল্পের কাজ করা যাবে না। সেই আইন সংশোধন করে ‘জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত প্রকল্প ও নিরাপত্তা বিষয়ক প্রকল্পের’ক্ষেত্রে বনভূমিকে ব্যবহার করার অনুমতি দেয় কেন্দ্র। এর ফলে বড় বড় শিল্পপতিরা চিড়িয়াখানা, সাফারি পার্ক এবং ইকো-ট্যুরিজম বা জাতীয় স্বার্থের কোনও প্রকল্পের নামে অনায়াসে বনভূমিকে ব্যবহার করতে পারবেন। অরণ্যে বসবাসকারী আদিবাসীদের উৎখাতও করতে পারবেন।
এই সংশোধনের তীব্র প্রতিবাদ করেছিল বিরোধী দলগুলি। তাঁদের মতে, মোদি ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিদের হাজার হাজার বর্গ কিলোমিটার বনভূমি পাইয়ে দিতেই এই আইন পাশ করানো হয়েছে। রবিবার ওয়ানড়ের বক্তৃতায় সেই সুরই ফিরে এল রাহুল গান্ধীর মুখে। তিনি বলেন, “অরণ্য, জমি ও বনসম্পদ ব্যবহারের অধিকার দিতে হবে আদিবাসীদের। নির্দিষ্ট একটি গণ্ডির মধ্যে তাঁদের আটকে রাখা যায় না।” প্রসঙ্গত, ওয়ানড়ের ক্যানসার হাসপাতালের জন্য নিজের সাংসদ তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দান করেছেন কংগ্রেস সাংসদ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.