সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ এড়াতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) দেখানো পথেই হাঁটছে ভারতীয় রেল। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। এবার সেই সময়সীমা বেড়ে হল ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা করা লকডাউন শেষ না হওয়া পর্যন্ত মিলবে না ট্রেন পরিষেবা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে আর্থিক ক্ষতি সহ্য করেই এই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল।
গত বৃহস্পতিবার জনতা কারফিউয়ের কথা ঘোষণা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। জনতা কারফিউ চলার মাঝে রবিবার দুপুরে নির্দেশিকা জারি করে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সমস্ত প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করে রেল মন্ত্রক (Ministry of Railways)। ফলে রবিবার থেকেই দেশের সমস্ত মেল, এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেন বন্ধ আছে। স্থগিত হয়ে আছে কলকাতা-সহ বিভিন্ন শহরের মেট্রো পরিষেবাও। অর্থাৎ যে রেল পরিষেবাকে ভারতের প্রাণ বলা হয়, তা গত রবিবার থেকেই পুরোপুরি বন্ধ। প্রথমে বন্ধ রাখার যে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়ছিল, তা শুধু বাড়ানো হল। আগামী ১৪ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত কোনও প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলবে না। তবে, আগের মতোই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহণের জন্যও চালু রাখা হবে মালগাড়ি।
পরিষেবা বন্ধ রাখার ফলে রেলকে যে বিরাট লোকসানের মুখ দেখতে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনিতেই করোনা আতঙ্কের জেরে লকডাউনের আগেই রেকর্ড লোকসানের মুখ দেখেছে রেল। ২৩ মার্চ পর্যন্ত শুধু এমাসেই লোকসান হয়েছে প্রায় ১৪২১ কোটি টাকা। যা সর্বকালের রেকর্ড। কিন্তু এই মুহূর্তে লোকসানের থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইকে। রেলের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় লকডাউন নিয়ে সচেতনতার প্রচারও করা
হচ্ছে। বুধবারও টুইট করে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে কেউ বাইরে না বের হন।
आने वाले 21 दिन हमारे लिए बहुत महत्वपूर्ण हैं। आप सभी से अनुरोध है कि कोई रोड पर ना निकले एवं घर पर ही रहें।#IndiaFightsCorona pic.twitter.com/6yKL28SEo8
— Ministry of Railways (@RailMinIndia) March 25, 2020
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.