ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউন চলছে দেশজুড়ে। এর মাঝেই বাড়ির অমতে ভিন্ন সম্প্রদায়ের যুবককে বিয়ে করতে চাওয়ায় এক কিশোরীকে নৃশংসভাবে খুন করার কথা জানা গেল। এর জেরে মৃতের মা ও কাকাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম সীতাদেবী ও সাওয়ারাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগেও মহারাষ্ট্রের পুণেতে স্বামী শেষরাম, তার ভাই সাওয়ারাম এবং সন্তানদের নিয়ে বসবাস করত মূল অভিযুক্ত সীতাদেবী। সেখানকার এক যুবকের সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তার ১৬ বছরের কিশোরী মেয়ে রিঙ্কুর। বিষয়টি জানতে পেরে তার বাড়ির লোক অশান্তি শুরু করলে দু’মাস আগে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েও যায় সে। এরপরই পুলিশের কাছে তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে বাড়ির লোক। তার ভিত্তিতে মুম্বইয়ের দাদার পুলিশ স্টেশন থেকে ওই প্রেমিক যুগলকে আটক করে পুলিশ। তারপর যুবকটি জেলে পাঠিয়ে মেয়েটিকে বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেয়।
একমাস আগে ছেলেটি জামিন পেয়ে জেল থেকে বেরোনোর পরেই রিঙ্কু পরিবারের লোকদের কাছে তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার আবেদন জানায়। তাতে রাজি হওয়া দূরের কথা, বরং পুণের পাঠ উঠিয়ে রাজস্থানে থাকা গ্রামের বাড়িতে ফেরার ছক করে তার পরিবার। সেই মতো পালি জেলার সোনাই মাজি গ্রামে থাকা নিজেদের দেশের বাড়ির কাছে একটি মুদিখানা দোকানও কেনে। এরপর গত ১৮ মার্চ মেয়ে রিঙ্কু ও দেওর সাওয়ারামকে নিয়ে রাজস্থানে পৌঁছন সীতাদেবী। আর ১৯ তারিখ দেওরের সঙ্গে মিলে নিজের মেয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করে। তারপর আগুন লাগিয়ে অর্ধেক শরীরে পুডিয়ে মাটিতে পুঁতে দেয়। তারপর ফের পুণেতে ফিরে যায়।
প্রতিবেশীদের মাধ্যমে এই ঘটনার কথা জানতে পেরে তদন্তে নামে রাজস্থান পুলিশ। আর তারপরই পুণে থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সীতাদেবী ও সাওয়ারামকে। তাদের জেরা করে পরিবারের আর কোনও সদস্য এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.