সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন বছরের শিশু কন্যার যৌন হেনস্তাকারী সন্দেহে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করল জনতা। মারধরের জেরে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত যুবকের নাম মহম্মদ ফয়জল। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন। ফয়জলের মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনেছে মৃতের পরিবার। স্থানীয় বাঙ্গার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দিকেই উঠেছে অভিযোগের আঙুল। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জয়পুরে।
এই প্রসঙ্গে শিশুটির বাবা আসলাম আনসারি জানিয়েছেন, ফয়জলে বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কেন না ঘটনার সময় তিনি তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। তাছাড়া মানসিকভাবে অসুস্থ ফয়জল এমন ঘটনা ঘটাতে পারে না। ঘটনার দিন অর্থাৎ চলতি মাসের তিন তারিখে পাড়ার বেশ কয়েকজনের সঙ্গে ফয়জলকে নিয়ে তিনি বেরিয়েছিলেন। সেই সময়ই তাঁকে ফোন করে জানানো হয়। অজ্ঞাত পরিচয় কোনও ব্যক্তি তাঁর শিশু কন্যার সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন তিনি। ফিরে এসে দেখেন সেখানে অভিযু্ক্ত নেই। পুনরায় নিজের কাজে ফিরে গিয়ে দেখেন ফয়জলকে ধরে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। কিন্তু ঘটনার সময় ফয়জল তাঁর সঙ্গেই ছিলেন। একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে ফয়জলকে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। উত্তেজিত জনতা ফয়জলকে ঘিরে ধরে লাথি মারতে থাকে। উপর্যুপরি মারধরে মারাত্মক জখম হয়ে পড়েন ফয়জল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃত্যুর পরেই গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে।
পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই মানসিকভাবে অসুস্থ ফয়জল। তার চিকিৎসা চলছিল ওই হাসপাতালে। তাকে যে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল বাড়ির কেউ জানত না। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভরতি করা হলে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয়। কি করে অসুস্থ রোগীকে হাসপাতাল ছেড়ে দিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই মারধরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। যখন বেঁধে মারধর করা হচ্ছে, তখন একবারও উচ্চবাচ্চ করেনি ফয়জল। তার এই পরিস্থিতি দেখেও উত্তেজিত জনতার মধ্যে কোনওরকম হেলদোল দেখা যায়নি। নিজেকে বাঁচাতে কোনওরকম চেষ্টা করেনি সে। তবে এই ঘটনার মধ্যে আসল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.