নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: পহেলগাঁও হামলার পর সর্বদল বৈঠকে তিনি ছিলেন না। বদলে বিহারে গিয়েছিলেন সরকারি কর্মসূচির নামে ভোটপ্রচারের উদ্দেশে। অপারেশন সিঁদুরে সেনার অভাবনীয় সাফল্যের পরও বিরোধীদের সম্মুখীন হলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। অপারেশন সিঁদুরে নিয়ে কেন্দ্রের ডাকা সর্বদল বৈঠকে (All Party Meeting) উপস্থিত থাকলেন না মোদি। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ফের প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস।
অপারেশন সিঁদুরের একদিন পরই এ নিয়ে বিরোধীদের কাছে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে সর্বদল বৈঠকের ডাক দেয় সরকারপক্ষ। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, এই সময় গোটা দেশ যে একত্রিত সেই বার্তাটা দেওয়া দরকার। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, সেই ঐক্যের বার্তা দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবারের সর্বদল বৈঠকে সংসদ ভবনে বিরোধী শিবিরের বহু শীর্ষনেতা উপস্থিত থাকলেন, অথচ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই থাকলেন না।
এদিনের বৈঠকে বিরোধীদের তরফ লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতা রামগোপাল যাদব, আপের সঞ্জয় সিং, শিব সেনা উদ্ধবের সঞ্জয় রাউত, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলেরা। আর কেন্দ্রর তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়া প্রথম সারির প্রায় সব মন্ত্রীই উপস্থিত। বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও উপস্থিত। সুত্রের খবর বিরোধীদের অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) সম্পর্কে সব তথ্য দিচ্ছেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ। তবে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত না থাকলেও তিনি নিজের বার্তা পাঠিয়েছেন রাজনাথ সিংয়ের মাধ্যমে। সূত্রের দাবি, বৈঠকেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী সে কথা জানিয়েছেন। তাছাড়া বৈঠকের আগেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করছেন মোদি।
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার প্রত্যাঘাতে মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) অভিযানে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র। এই হামলায় বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিনর সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা অপারেশনের নজরদারিতে ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই হামলার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন বিদেশসচিব ও সেনা। তাতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে ৯টি জায়গায় জঙ্গি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ করা হয়েছে। যে সব জায়গায় বসে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হানার পরিকল্পনা হয়েছিল এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই ভারত আঘাত হেনেছে। সেই হামলার পর বিরোধীদের ‘কনফিডেন্সে’ নিতে সর্বদল বৈঠক ডাকল বিরোধী শিবির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.