সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিপাকে রাজ্যসভার এক নিরাপত্তা আধিকারিক। চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডুর (Venkaiah Naidu) রোষের মুখে পড়তে হল তাঁকে। ওই নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তাঁর রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন।
গত ১২ তারিখ রাজ্যসভার তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যাতে বলা হয়েছে, রাজ্যসভার নিয়ম মেনেই চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু উরুজুল হাসান নামের নিরাপত্তা আধিকারিককে আগামী পাঁচ বছরের জন্য অধঃস্তন কর্মী হিসেবে কাজ করার শাস্তি দিয়েছেন। এই উরুজুল হাসান রাজ্যসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর ছিলেন। রাজ্যসভার যাবতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার দেখভাল করতেন তিনি। রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা হারানোর অভিযোগে ইতিমধ্যেই সাসপেনশনে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। জানা গিয়েছে, আগামী পাঁচ বছরের জন্য তাঁকে সাধারণ নিরাপত্তারক্ষী হিসেবেই কাজ করতে হবে উরুজুলকে। শুধু তাই নয়, এই পাঁচ বছর তাঁর বেতন বাড়বে না বা পদোন্নতি হবে না। এই পাঁচ বছরের মধ্যে যদি তাঁর চুক্তি শেষ হয়ে যায়, তাহলেও তাঁর সঙ্গে চুক্তির নবীকরণ করবে না রাজ্যসভা কর্তৃপক্ষ।
রাজ্যসভার নিয়ম অনুযায়ী, কর্মীরা এমন কোনও কাজ করতে পারে না, যাতে একজন সরকারি কর্মীর পদের অমর্যাদা হয়। সেই নিয়মের আওতায় এনেই উরুজুল হাসান নামের ওই ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যসভা কর্তৃপক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অপমানজনক পোস্ট করেছেন। এমনকী, মোদির নাম নিয়ে রসিকতা করারও অভিযোগ রয়েছে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে। একদিন বা দু’দিন নয়, লাগাতার প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে অপমানজনক পোস্ট শেয়ার করেছেন ওই ব্যক্তি। যার জেরে তাঁকে শাস্তি পেতে হল। কিন্তু, এখানেই প্রশ্ন উঠছে, স্রেফ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট শেয়ার করার জন্য কোনও সরকারি কর্মীকে এভাবে আদৌ শাস্তি দেওয়া যায় কি?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.