সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচারে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। ‘হাত’ শিবিরকে ‘তালিবান’-এর সঙ্গে তুলনা করে তাঁর দাবি, ‘দেশে তালিবান শাসন চালু করতে চাইছে কংগ্রেস। কিন্তু দেশের জনতা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে দিল্লির মসনদে বসে দেশ চালাবে রাম ভক্তই।’
শেষ দফার নির্বাচনী প্রচারে মঙ্গলবার বিহারে উপস্থিত হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেখানে পাটনা সাহিব কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রবিশংকর প্রসাদের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে যোগী বলেন, ”এই নির্বাচনে চতুর্থবার ভোট প্রচারে বিহারে আসার সুযোগ হল আমার। বিহারের যেখানেই আমি প্রচারে গিয়েছি সেখানকার মানুষ আমায় জানিয়েছে, যিনি রামকে এনেছেন এবার তাঁকেই আনব আমরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হলেন রামের পরম ভক্ত।” এর পরই কংগ্রেসকে তোপ দেগে যোগী বলেন, ”এই কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোটের ‘মুসলিম পার্সোনাল ল’ চালু করার কথা বলছেন। যার অর্থ হল দেশে তালিবান শাসনকে উৎসাহ দেওয়া। কংগ্রেস চাইছে দেশে তালিবান শাসন চালু করতে। এই আইনে মহিলাদের স্কুল, কলেজ ও অফিস যাওয়ার স্বাধীনতা থাকবে না। তাঁদের বোরখা পরে ঘুরতে হবে রাস্তায়।” এ প্রসঙ্গেই রবিশংকর প্রসাদের প্রশংসা করে যোগী বলেন, উনি যখন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী ছিলেন তখন তিন তালাক তুলে দিয়েছেন।
এখানেই থামেননি যোগী আদিত্যনাথ। সরাসরি হিন্দুত্বের কার্ড খেলে যোগী বলেন, ”রামভক্ত (নরেন্দ্র মোদি) এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অযোধ্যায় রাম মন্দিরের পর এবার মথুরাতে কৃষ্ণ মন্দির তৈরি করবেন। কংগ্রেস ও বিহারে ওদের সহযোগী দল আরজেডি কখনই এই কাজ করবে না, বরং তারা বাধা দেবে। কারণ, ওদের চাই ভোট ব্যাঙ্ক। ফলে দেশের জনতা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন দিল্লির মসনদে বসে দেশ চালাবে রাম ভক্তই।” একইসঙ্গে যোগীর জানান, ‘বিরোধীদের শরীরে ঔরঙ্গজেবের আত্মা ঢুকে পড়েছে। ওরা দেশের জনতার সম্পত্তি ছিনিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দিতে যায়। যেভাবে ঔরঙ্গজেব হিন্দুদের উপর ‘জজিয়া কর’ লাগু করেছিল একইভাবে ইন্ডিয়া জোট সম্পত্তি কর লাগু করতে চায়।’
যোগী আদিত্যনাথের এহেন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক চরম আকার নিয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটের ময়দানে শুরু থেকেই উগ্র হিন্দুত্বকে নির্লজ্জভাবে তুলে ধরতে গিয়ে এবার মিথ্যাচারিতা করতেও পিছুপা হচ্ছে না বিজেপি। ‘মুসলিম পার্সোনাল ল’ দেশে দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। যা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য প্রযোজ্য তাকে আলাদা করে নিয়ে আসার কিছু নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.