সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাগর পথে সন্ত্রাসবাদী হামলা বা ‘সমুন্দরি জেহাদ’ রুখতে প্রস্তুত ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন ভাইস অ্যাডমিরাল এম এস পাওয়ার।
২৬/১১ মুম্বই হামলার বর্ষপূর্তির আগে কাশ্মীরে সম্ভাব্য জঙ্গি হামলা রুখে দেওয়ায় সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের সুরক্ষায় মোতায়েন জওয়ানদের সাহসিকতার জন্য ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরই সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভাইস অ্যাডমিরাল পাওয়ার বলেন, “আর কয়েকদিন পর মুম্বই হামলার ১২ বছর পূর্ণ হবে। আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে সাগর থেকে আসা সমস্ত রকম সন্ত্রাসবাদী হামলা রুখতে সম্পূর্ণ তৈরি নৌসেনা।” এদিন মালাবার-২০২০ নৌ মহড়া নিয়েও বক্তব্য রাখেন পাওয়ার। তিনি সাফ জানান, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আন্তর্জাতিক মঞ্চের সঙ্গে স্বাধীনতা ও সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে বদ্ধ পরিকর ভারত।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানো এক রিপোর্টে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জানিয়েছে। মুম্বই হামলার ধাঁচে অনেকটা কাসভদের কায়দায় জলপথে সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কারয়েছে। পাকিস্তান থেকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত এই জঙ্গিরা ‘সমুন্দরি জেহাদি’ নামেই পরিচিত। এছাড়াও, ভারতে শিকড় জমনোর চেষ্টা করছে ইসলামিক স্টেট বলেও খবর। দেশের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বেড়েছে ইসলামিক স্টেটের উপস্থিতি৷ কয়েকদিন আগেই মার্কিন হানায় নিহত হয় ইসলামিক স্টেটের কেরল শাখার প্রধান রশিদ আবদুল্লাহ৷ আফগানিস্তানে আমেরিকার বোমারু বিমানের হামলায় ওই জঙ্গি ছাড়াও মৃত্যু হয়েছিল আরও পাঁচ ভারতীয় জেহাদির৷শীর্ষ গোয়েন্দা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কেরল ছাড়াও তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও জম্মু-কাশ্মীরে ইসলামিক স্টেটের ছায়া পড়ছে। মোবাইল লোকেশনের ঝামেলা এড়াতে ‘টেলিগ্রাম’ নামের একটি মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে খবর আদানপ্রদান করছে জঙ্গিরা। এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য, গত কয়েক বছরে শুধু কেরলেরই ১০০ জন বাসিন্দা ইসলামিক স্টেটে (Islamic State) যোগ দিয়েছে। এদিকে, সতর্কবার্তা পাওয়ার পর থেকেই কেরল উপকূলে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমুদ্রপথে জেহাদিদের প্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক উপকূলরক্ষী বাহিনী তথা নৌসেনাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.