সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই শাসকদলের সঙ্গে খুঁটিনাটি বিষয়ে সংঘাত হচ্ছে জগদীপ ধনকড়ের। পরিস্থিতি এমন জায়গায় চলে গিয়েছে যে রাজ্যপালকে সোজাসুজি বিজেপির এজেন্ট বলতে শোনা গিয়েছে তৃণমূলের অনেক নেতা-নেত্রীকে। পদ্মপাল বলে কটাক্ষও করছেন কেউ কেউ। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গে সমস্ত স্তরের প্রশাসনিক আধিকারিকরা অসযোগিতা করছেন বলেও অভিযোগ উঠছে। অন্যদিকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও প্রশাসনের কাজে অযথা হস্তক্ষেপের করার অভিযোগ জানাচ্ছে তৃণমূল। প্রায়ই একই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ভারতের কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতেও। উপরাজ্যপাল কিরণ বেদির বিরুদ্ধে রাজ্যের উন্নয়নে বাধা দেওয়া ও মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাতিল করার অভিযোগ আনলেন মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। শুধু তাই নয়, কিরণ বেদীকে সরানোর জন্য রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থও হয়েছেন তিনি।
এপ্রসঙ্গে বুধবার পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী বলেন, ‘রাজ্যের লেফটেন্যান্ট গর্ভনর (Lieutenant Governor) কিরণ বেদী স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে কাজ করছেন। মন্ত্রিসভায় যা সিদ্ধান্তই নেওয়া হচ্ছে উনি সেগুলি বাতিল করে দিচ্ছেন। নিজের সরকারি পদের অপব্যবহার করে ভারতীয় সংবিধানের অপমান করেছেন। তিনি যে শপথ নিয়ে পদে বসেছিলেন তা মানছেন না। সরকারের প্রতিদিনের কাজে অযথা হস্তক্ষেপ করছেন। বাধ্য হয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁকে এই রাজ্য থেকে সরিয়ে নেওয়ার আরজি জানিয়েছি। গত ২৩ ডিসেম্বর মহামান্য রাষ্ট্রপতি পুদুচেরিতে এসেছিলেন। তখন তাঁকে এই বিষয়ে অনুরোধ জানিয়ে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছি। আশাকরি উনি আমাদের আবেদন গ্রহণ করে লেফটেন্যান্ট গর্ভনর পদ থেকে কিরণ বেদিকে সরিয়ে দেবেন।’
রাজ্যের মন্ত্রিসভায় উন্নয়ন নিয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কিরণ বেদি তাতে বাধা দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ জানান নারায়ণস্বামী। বলেন, ‘উনি সংবিধান ও আইন ভেঙে পুদুচেরিতে সমান্তরাল সরকার চালানোর চেষ্টা করছেন। পুদুচেরি মন্ত্রিসভায় নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিচ্ছেন। যদিও তার মধ্যে অনেকগুলি সিদ্ধান্তে পরে সিলমোহর দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর এই ঘটনাগুলি প্রমাণ করে যে ড. কিরণ বেদি লেফটেন্যান্ট গর্ভনর পদের যোগ্য নন।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.