সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ২ বছর ধরে করোনার ধাক্কা। আর যার জেরে প্রবল ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে দেশের অর্থনীতিকে। জ্বালানি থেকে শুরু করে আনাজপাতির মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়িয়ে দেশের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি (Retail inflation) পৌঁছল ৬.৯৫ শতাংশে। গত মাসেই তা ছিল ৬.০৭ শতাংশ। এক মাসেই এই হার বাড়ল প্রায় ১ শতাংশের কাছাকাছি। এর ফলে কাঁচা বাজারের যে অগ্নিমূল্য তা আরও ভ্রুকুটি দেখাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এই নিয়ে টানা ৩ মাস পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি রইল ৬ শতাংশের উপরে। সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিল এই হার ৪ শতাংশের মধ্যে বেঁধে রাখতে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, তা সেই সীমাকে অতিক্রম করে গিয়েছে।
এদিকে আরবিআই নিজের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৭.৪ শতাংশ থেকে GDP বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়াতে পারে ৭.২ শতাংশ। মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.৫% থেকে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫.৭%। তবে রেপো রেট (Repo Rate) ও রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছে রিজার্ভ ব্যাংক। এই মুহূর্তে রিজার্ভ ব্যাংকের রেপো রেট চার শতাংশ এবং রিভার্স রেপো রেট আগের মতোই ৩.৩৫ শতাংশ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এই নিয়ে টানা ১১ বার রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখাল আরবিআই।
প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাংক যে হারে বাণিজ্যিক ব্যাংক গুলোকে ঋণ দেয়, তা হল রেপো রেট। আর শীর্ষ ব্যাংক যে হারে অন্য বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়, সেটাকে বলা হয় রিভার্স রেপো রেট। রেপো রেট কমানোর অর্থ সুদের হার কমাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে উৎসাহিত করা। যাতে মানুষ আরও ঋণ নেয় ও বাজারে টাকার জোগান বাড়ে। আপাতত সেই পথে হাঁটছে না রিজার্ভ ব্যাংক (Reserve Bank)।
সব মিলিয়ে বাজারে যে আগুন দামে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস উঠছে, তা এখনই কমার নাম নেই। বরং এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবও এসে পড়েছে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে শুরু করার পর তার প্রভাবও পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপরেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.