সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মতো রাজ্যে সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম চালু করতে চলেছে সরকার। বাংলায় এই ধরনের উদ্যোগ প্রথম। কিন্তু সেই উদ্যোগ নিয়েও জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং সুপ্রিম কোর্টে একাধিক প্রশ্ন তুলে দিলেন। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের ত্রুটিপূর্ণ ‘রেফার রোগে’র জন্যই মার খেতে হয় চিকিৎসকদের। যে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল শীর্ষ আদালত।
জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংয়ের অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় এক হাসপাতাল থেকে রোগীদের এমন এক হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে যেখানে উপযুক্ত শয্যা ফাঁকা নেই, বা পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই বা ওই রোগের চিকিৎসার পরিকাঠামো নেই। যার ফলে রোগীর আত্মীয়দের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকদের। ইন্দিরা জয়সিংয়ের দাবি, রাজ্য যে সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম চালু করছে, তাতে নিশ্চিত করতে হবে সেই সব হাসপাতালেই রোগীদের রেফার করা হচ্ছে, যেখানে উপযুক্ত চিকিৎসার পরিকাঠামো আছে।
ইন্দিরার অভিযোগ শুনে সুপ্রিম কোর্টের প্রতিক্রিয়া, রাজ্য যে ইন্টিগ্রেটেড হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করেছে, তাতে সিস্টেম মনিটার করার ব্যবস্থা আছে, অনলাইন প্রেসক্রিপশন, কোন হাসপাতালে কত বেড খালি আছে, সেটার রিয়াল টাইম আপডেটও থাকবে। এর পরই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, রোগীদের সেইসব হাসপাতালেই রেফার করা যাবে, যে হাসপাতালে শয্যা ফাঁকা আছে বা উপযুক্ত চিকিৎসা পরিকাঠামো আছে। ইন্টিগ্রেটেড হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের কাজ ১ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে।
উল্লেখ্য, রাজ্য মঙ্গলবার থেকে যে কেন্দ্রীয় রেফারেল সিস্টেম চালু করছে তাতে পোর্টালের মাধ্যমে রেফারেল ব্যবস্থা পরিচালিত হওয়ার কারণে স্পষ্ট ভাবে জানা যাবে, কোন হাসপাতালে বর্তমানে কতগুলি শয্যা ফাঁকা রয়েছে। বিভ্রান্তি কিংবা সমন্বয়হীনতা কমবে। সে ক্ষেত্রে রোগীকে নিয়ে পরিজনেদের এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে দৌড়ে বেড়াতে হবে না বলে আশা করা হচ্ছে। রোগীদের সুবিধার্ধে প্রতিটি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে কতগুলি বেড ফাঁকা রয়েছে, তা জানানোর জন্য একটি করে ডিজিটাল মনিটর রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.