সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবারই ধর্মীয় স্থান তথা ধর্মের বাড়াবাড়ি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কেরল হাই কোর্ট (Kerala High Court)। আদালতের মন্তব্য, এর ফল বিপজ্জনক হতে পারে। এর মধ্যেই মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ভোপাল (Bhopal) শহরের একটি মলে কতকটা তেমন কাণ্ডই ঘটল। এদিন বিকেলে ওই মলের মুসলিম কর্মীরা শপিংমলের ভিতরে নমাজ পড়ছিলেন, ওই সময় পালটা মলের ঢুকে ভজন গাইতে শুরু করেন হিন্দুত্ববাদীরা। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তজনার পরিবেশ তৈরি হয়।
শনিবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ মলের বেশ কয়েকজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী কর্মী শপিংমলের নীচের তলায় ফায়ার এক্সিটের কাছে নমাজ পড়ছিলেন, সেই সময়েই বজরং দলের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হন। মলে নমাজ পড়া নিয়ে আপত্তি তোলেন তাঁরা। মুসলিমদের নমাজ পড়ার ভিডিও করেন তাঁরা। এরপরেই গলা ছেড়ে ভজন গাইতে শুরু করেন।
উত্তেজনা বাড়ায় ঘটনাস্থলে হাজির হন মল কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তারক্ষীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ আসে ভোপালের ওই শপিংমলে। এই বিষয়ে বজরং দলের এক নেতার বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে মলে নমাজ পড়া চলছিল। আমরা জানিয়ে দিয়েছি, ওখানে নমাজ পড়া হলে হনুমান চালিশাও পড়া হবে। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, কোনও পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে দুইপক্ষের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে কথা হয়েছে। নিশ্চিত করা হয়েছে যে ভবিষ্যতে শপিংমলের ভিতরে কোনওরকম ধর্মীয় আচরণ করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, শনিবার একটি বাণিজ্যিক ভবনকে মসজিদে রূপান্তরের মামলায় মামলাকারীকে চরম ভর্ৎসনা করে কেরল হাই কোর্ট (Kerala High Court)। আদলতের তরফে বলা হয়, রাজ্যে জনসংখ্যার তুলনায় ধর্মীয় স্থানের সংখ্যা বেশি। ফলে নতুন করে ধর্মীয় স্থান গড়ে তোলার আর প্রয়োজন নেই। তাছাড়া রাস্তার কোনায় কোনায় মসজিদ (Mosque) গড়ার কথা লেখা নেই কোরানে (Quran)।
আদালত উদ্বেগ প্রকাশ করে বলে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং প্রার্থনা কেন্দ্রে ভরে উঠেছে কেরল। এভাবে যদি হিন্দু, খ্রিস্টান, মুসলমান, ইহুদি, পার্সি সব ধর্মাবলম্বী মানুষ তাঁদের বাড়ির কাছে ধর্মীয় স্থান নির্মাণ শুরু করেন, তবে রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে, গুরুতর ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এইসঙ্গে নাকচ করে দেওয়া হয় ওই বাণিজ্যিক ভবনের মসজিদে রূপান্তরের আবেদনটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.