সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে মহামারির আকার নিয়্ছে করোনা। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার। ভারতেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণ রুখতে ভরসা মাস্ক আর হ্যান্ড স্যানিটাইজার। অথচ এই দুই সামগ্রীর দেদার কালোবাজার চলছে। আকাশছোঁয়া দামে বিকোচ্ছে মাস্ক আর হ্যান্ড স্যানিটাইজার। মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে সেগুলি বিপুল দামে বিক্রি করছেন একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। একই সময় মাত্র ২ টাকায় মাস্ক বিক্রি করে নজির গড়ছেন দুই ব্যবসায়ী।
ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১২। CVOID-19 জীবাণু মোকাবিলার জন্য আগামী ১০০ দিন পর্যন্ত ফেস মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। অথচ মানুষের আতঙ্কের সুযোগ নিয়ে দেশজুড়ে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কালোবাজারি চলছে। এধরণের বেশকিছু অভিযোগও সামনে এসেছে। এরপরই নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র সরকার। সংক্রমণ রুখতে মাস্ক ও স্যানিটাইজারকে অত্যাবশকীয় সামগ্রী হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। ফলে এই দুই সামগ্রীর কালোবাজারি করলে জেলের হাওয়া খেতে হতে পারে। তাও আবার সাত বছরের জন্য। দিতে হবে মোটা টাকা জরিমানাও। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এই দুটোয় করতে হতে পারে। তারপরেও মাস্কের কালোবাজারি চলছে বলে অভিযোগ।
বাজারে অনেক বেশি দামে ফেস মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্যতিক্রম রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ২ টাকায় মাস্ক বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরলের কোচির ওষুধের একটি দোকান। ওই ওষুধ দোকানের দুই কর্ণধার নাদিম ও থালসিম জানিয়েছেন, “আমরা মূলত হাসপাতাল কর্মী ও পড়ুয়াদের মাস্ক বিক্রি করেছে। আমরা সারা বছরই মাস্ক নির্মাতাদের কাছ থেকে ৮-১০ টাকা দামে মাস্ক কিনি। গত আট বছর ধরে তারা ২ টাকাতেই বিক্রি করছি।” এই বাজারেও একই দামে সেই মাস্ক বিক্রি করা হচ্ছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, মাত্র দু’দিনে ওই দোকান থেকে পাঁচ হাজারেরও বেশি মাস্ক বিক্রি হয়েছে। দুই কর্ণধার জানান, “এই বিপর্যয়ের দিনে লাভের কথা না ভেবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য। এদিকে কম দামে মাস্ক বিক্রির ফলে দোকানের স্টক শেষ হয়ে গিয়েছে তাদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.