বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: বঙ্গ বিজেপিকে বাঁচাতে নড়েচড়ে বসল সংঘ পরিবার। গেরুয়া শিবিরের দুরাবস্তা ঢাকতে দিল্লিতে বৈঠক ডাকলেন সংঘের নেতারা। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বাংলার প্রচারক প্রমুখ ও সংঘ চালকদের বৈঠকে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে সংগঠনের অগ্রগতি ছাড়াও বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। সেক্ষেত্রে বঙ্গ বিজপির সংগঠনের প্রসঙ্গের পাশাপাশি পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে প্রচারকদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার পর থেকেই বাংলায় বিজেপির সংগঠন নিয়ে একাধিকবার সতর্ক করেছে সংঘ পরিবার। সেই সতর্কতা গায়ে মাখেননি বঙ্গের গেরুয়াকুলের (West Bengal BJP) নেতারা। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত পদ্মশিবির এখন কার্যত তিনভাগে বিভক্ত। নেতৃত্বকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়তে দেখে অনেকেই বিরক্ত হয়ে বসে গিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তৈরি করে দেওয়া সংগঠন এখন ছিন্নভিন্ন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রোষের মুখে পড়তে হতে পারে, এই আশঙ্কা থেকে পঞ্চায়েত ভোটে দিল্লির কাছে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণে মরিয়া তিন শিবিরই। তাই যেখানে যাঁর অনুগামীর সংখ্যা বেশি, সেখানে সেই শিবির তত বেশি সংখ্যায় প্রার্থী দেওয়ার কৌশল নিয়েছে। কিন্তু গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। নজর রাখছে সংঘ পরিবারও।
প্রথমে ঠিক ছিল পঞ্চায়েত ভোটে গা ঘামাবে না সংঘের নেতৃত্ব। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক পরিস্থিতির কথা ভেবে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে সংঘ পরিবারের শীর্ষ নেতৃত্ব বলে সূত্রের খবর। সেই কারণেই চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে রাজ্যের প্রচার প্রমুখদের দিল্লিতে বৈঠকে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, বঙ্গ বিজেপির সংগঠন মজবুত করতে তাঁদেরকে নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি দায়িত্ব ও কর্তব্য বাতলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, বাংলার একাধিক জায়গায় মনোনয়ন নিয়ে অশান্তির কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে মৌখিকভাবে আগেই জানিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। এবার সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.