সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রুবি রাইয়ের পর এবার গণেশ কুমার। বিহারে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় টপারদের নিয়ে বিতর্ক যেন কিছুতেই কাটছে না। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় একদা শীর্ষ স্থানাধিকারী রুবি রায় রাষ্ট্রবি়জ্ঞান নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন ওটা হেঁসেলের পাঠ। আর এবছর সেই ঘটনারই যেন পুনরাবৃত্তি হল গণেশ কুমারের ক্ষেত্রে৷ সংগীত নিয়ে কিছু মামুলি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হতে হল কলাবিভাগের প্রথম স্থানাধিকারীকে।
[কলেজ স্কোয়ারে আর হবে না মিটিং-মিছিল, জানিয়ে দিলেন মমতা]
বিহারের সমস্তিপুরের রামনন্দন সিং জগদীপ নারায়ণ হাইস্কুলের ছাত্র গণেশ কুমার। এবছর প্রায় ৮২ শতাংশ নম্বর পেয়ে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় কলাবিভাগে প্রথম হয়েছে সে। হিন্দি ও সমাজবি়জ্ঞানের পাশাপাশি সংগীতও ছিল গণেশের অন্যতম পাঠ্য বিষয়। সংগীতে ৮২ শতাংশ নম্বরও পেয়েছে সে। কিন্তু সংগীত নিয়ে কিছু মামুলি প্রশ্নের উত্তরে গণেশ কুমার যা বলেছে তাতে ফের নতুন করে বিহারের পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনার পর স্কুলের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
[গোমাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ, ১৯ বছর পর মাংস খেলেন কেরলের বিধায়ক]
ঠিক কী বলেছে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকারী গণেশ কুমার? একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে বলেছে, দেশের সংগীত জগতের কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকর ‘মৈথিলি কোকিলা’ নামে পরিচিত। প্রসঙ্গত, লতা মঙ্গেশকর নন বিহারের বিখ্যাত লোকসংগীতের শিল্পী সারদা সিনহাকে এই উপাধি দেওয়া হয়েছিল। সংগীতে প্রাথমিক বিষয় হল সুর, তাল ও লয়। সে বিষয়গুলিরও ঠিকমতো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি গণেশ। এরপরই জনৈক সাংবাদিক গণেশের কাছে জানতে চান সংগীতে প্র্যাকটিকাল পরীক্ষায় সে কী করেছে? জবাবে একটি জনপ্রিয় হিন্দি ছবি গান শুনিয়ে দেয় বিহারে দ্বাদশ শ্রেণী পরীক্ষায় কলাবিভাগে এই প্রথমস্থানাধিকারী।
[গবাদি পশু বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিতর্কিত টুইট শেহবাগের]
যদিও এই ঘটনায় সংবাদমাধ্যমকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিহারের শিক্ষামন্ত্রী অশোক চৌধুরী। মন্ত্রীর দাবি, বোর্ডের সভাপতি নিজে তাঁকে জানিয়েছেন, সঠিকভাবে পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্রের মূল্যায়ণ করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমই সবসময়ই নেতিবাচক খবর খোঁজে।
[হিজবুল কমান্ডার সবজার ভাটের হদিস দিয়েছিল সঙ্গীরাই]
জানা যাচ্ছে, আদপে গণেশ কুমারের বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। বেশ কয়েক বছর আগে রুটি-রুজির সন্ধানে বিহারের সমস্তিপুরে আসে সে। তখনই স্থানীয় কিছু মানুষের পরামর্শে স্কুলেও ভর্তি হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.