ছবি- এএনআই
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ভারতের বিদেশমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন এস জয়শংকর। মঙ্গলবার, নতুন করে সমস্ত কাজ বুঝে নিতে তিনি পা রাখেন সাউথ ব্লকে। সেখানে তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। আর দ্বিতীয়বারের জন্য বিদেশমন্ত্রী হয়ে তাঁর গলায় শোনা গেল সীমান্ত সংঘাতের কথা। মোদি ৩.০ সরকারের প্রধান লক্ষ্য যে বর্ডার ইস্যুগুলোর সমাধান ও সন্ত্রাসবাদ দমনে কাজ করা, সেকথাই জানালেন তিনি। পাশাপাশি চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও আগামিদিনে ভারতের বিদেশনীতির কথাও তুলে ধরলেন জয়শংকর।
রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নেন জয়শংকর (S Jaishankar)। সোমবার নয়া মন্ত্রীসভার বৈঠকে অংশ নেন তিনি। গতকাল ‘বিগ ৪’-এর অন্যতম বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। যা পেয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি। মঙ্গলবার সাউথব্লকের নিজের কার্যালয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে জয়শংকর বলেন, “দ্বিতীয়বারের জন্য বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের ‘ভারত প্রথম’ এই বিদেশনীতি মেনে চলার উপদেশ দিয়েছেন।” করোনা অতিমারী থেকে ইউক্রেন যুদ্ধ ও বর্তমান সময়েও বিদেশের মাটিতে ভারত যেভাবে কাজ করছে সেই কথাও এদিন উল্লেখ করেন তিনি। ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ থেকে শুরু করে ‘অপারেশন গঙ্গা’, ‘অপারেশন কাবেরী’র মতো কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ও ভারতের পৌরহিত্যে জি-২০ সম্মেলনের কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।
এর পর আগামী ৫ বছর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উঠে আসে চিন ও পাকিস্তানের প্রসঙ্গ। যার উত্তরে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “অন্যান্য দেশের তুলনায় চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আলাদা। তাদের সঙ্গে আমাদের সমস্যাগুলোও ভিন্ন। এইবারও আমাদের লক্ষ্য পড়শি দেশের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত মিটিয়ে শান্তি বজায় রাখা। চিনের ক্ষেত্রে আমরা চাই সীমান্ত সমস্যাগুলোর সমাধানের পথ খুঁজে বের করা। অন্যদিকে, বছরের পর বছর ধরে যে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ চলছে তা নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সমাধানে আসা। আজ আমরা আমাদের ‘বিশ্ব বন্ধু’ অবস্থান নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী। আজকের এই অশান্ত বিশ্বে আমাদের এই অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই জন্যই আজ অনেকে আমাদের বিশ্বাস করে।” পাশাপাশি বৈঠক ও আলোচনার মাধ্যমেই যে ভারত সব সময় যেকোনও সমস্যার সমাধানে আসতে চায় ও শান্তি বজায় রাখায় বিশ্বাসী সেই নীতিও এদিন ফের মনে করিয়ে দেন জয়শংকর।
আজ, মঙ্গলবার, জয়শংকরের মতোই কাজ শুরু করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক ও তথ্য প্রযুক্তি এবং বৈদ্যুতিন মন্ত্রকও রয়েছে তাঁর হাতে। এদিন তাঁর কার্যালয়ে স্বাগত জানানো হয় তাঁকে। প্রসঙ্গত, রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় তৃতীয় বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি তাঁর সঙ্গে শপথ নেন আরও ৭১ জন। তাঁদের মধ্যে ৩০ জন পূর্ণমন্ত্রী। ৩৬ জন প্রতিমন্ত্রী। বাকিরা স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত। অবশেষে সোমবার তাঁদের মধ্যেই বণ্টন হয় মন্ত্রকের দায়িত্ব। শোনা যাচ্ছে, ১৮ জুন থেকে শুরু হতে পারে নতুন লোকসভার অধিবেশন। ২০ জুন স্পিকার নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে। ২১ জুন দুই কক্ষের যৌথ অধিবেশন হতে পারে। সেখানে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.