সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতিতে আমেরিকার কোনও ভূমিকা নেই, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S. Jaishankar)। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সংঘর্ষ থামাতে চেয়েছিল পাকিস্তান। তাদের অনুরোধে ভারত সাড়া দিয়েছে। দুপক্ষের আলোচনার মধ্যে কোনও তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা নেই। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন তিনিই নাকি ভারত এবং পাকিস্তানকে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি করিয়েছেন।
পহেলগাঁও হামলার বদলা নিতে ৬ মে মাঝরাতে জঙ্গিদের ‘আঁতুড়ঘর’ পাকিস্তানে আঘাত হানে ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুর। পালটা দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। তাদের ড্রোন হামলা প্রতিহত করে ভারতের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ভারতের মারে বিধ্বস্ত হওয়ার পর আক্রমণ থামানোর আর্জি জানিয়েছিল পাকিস্তান। তারপর সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড বন্ধ করার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে ইসলামাবাদের মিনতিতে সাড়া দেয় দিল্লি। ১০ মে সম্মতি জানানো হয় সংঘর্ষবিরতিতে।
তারপরেই একাধিকবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে দীর্ঘ কথা বলার পর ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে যেতে রাজি হয়েছে। পরমাণু শক্তিধর দুই দেশকে চাপ দিয়ে সংঘর্ষবিরতি করেছি। যুদ্ধ না থামালে বাণিজ্যেও না, হঁশিয়ারি দিয়েছিলাম। তাতেই কাজ হয়েছে।’ তবে ভারত সরাসরি এই দাবি খারিজ করেনি। কিন্তু বারবার নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়েছে, সংঘর্ষবিরতিতে কোনও তৃতীয় পক্ষ মধ্যস্থতা করেনি। দুই তরফের ডিজিএমও বৈঠক করে সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করা হয়।
তবে এই প্রথমবার মার্কিন মধ্যস্থতা নিয়ে মুখ খুললেন বিদেশমন্ত্রী (S. Jaishankar)। সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “পাক সেনার তরফ থেকে আমাদের বার্তা পাঠানো হয়েছিল যে তারা আক্রমণ থামাতে চায়। আমরা সেই বার্তার যথোপযুক্ত উত্তর দিয়েছি।” মার্কিন ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, “আমেরিকা তো আমেরিকাতেই ছিল। তাদের বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স যথাক্রমে আমার সঙ্গে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে সেটা কেবলমাত্র উদ্বেগ প্রকাশের জন্য।” বিদেশমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সমস্যা থাকলেও সেটা মেটানো হবে দ্বিপাক্ষিকভাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.