সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা করাতে বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়েছিলেন এক প্রবাসী ভারতীয়। অসুস্থ ব্যক্তির কথা পুলিশ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকে জানান সেই ক্লিনিকের তরুণী চিকিৎসক। আর এই ‘অপরাধেই’ চাকরি গিয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন কেরলের ত্রিশূর জেলার ওই চিকিৎসক। তাঁর কথায়, ‘সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কেউ কিছু বলল না, কিন্তু আমার চাকরি চলে গেল।’ এদিন আবার কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের রোগ ও ভ্রমণ বৃত্তান্ত না জানানো আইনত অপরাধ। যদিও গোটা ঘটনায় ক্লিনিকের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এই ঘটনা সামনে আসতেই কেরলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শিনু শ্যামলন নামের কেরলের ওই মহিলা চিকিৎসক জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে করোনার উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তি তাঁর কাছে চিকিৎসা করাতে আসে্ন। ওই ব্যক্তি সম্প্রতি কাতার থেকে ফিরেছেন বলে জানান। কিন্তু তিনি তা স্বাস্থ্য দফতরকে জানাননি। সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি। কিন্তু তা করতে অস্বীকার করেন কাতার ফেরত ওই ব্যক্তি। বলেন, ‘শিগগির তিনি ফের কাতারে ফিরে যাবেন।’
শিনু শ্যামলন জানিয়েছেন, “ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা মোটেও ভাল ছিল না। তাই আমি স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিশকে ওই ব্যক্তির খবর দিই।” তিনি আরও বলেন, “এরপরেই নাকি সংশ্লিষ্ট ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাঁকে বরখাস্ত করে দেন।” এ প্রসঙ্গে কর্তৃপক্ষ নাকি জানায়, ওই ক্লিনিকে এক করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন, এ কথা সো্শ্যাল মিডিয়ায় জানানোর পর আর কেউ ওই ক্লিনিকে আসবেন না। তাই সেই ‘অপরাধে’ শিনু শ্যামলনকে বরখাস্ত করা হয়।
এই ব্যাপারে অবশ্য ওই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে ত্রিশূরের ডিস্ট্রিক্ট মেডিক্যাল অফিসার সেখানকার জেলা শাসকের কাছে শিনুর বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, শিনু শ্যামলন নাকি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সম্মানহানির চেষ্টা করেছেন। এই ব্যাপারে অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু জানাননি ওই তরুণী চিকিৎসক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.