সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৫ বছরের বিজেপি-রাজের অবসান ঘটিয়ে দিল্লি পুরনিগমের ক্ষমতা দখল করে ফেলেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দল। ২৫০ আসনের দিল্লি পুরনিগমে ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে ১৩৪টি আসনে জয়ী হয়েছে আম আদমি পার্টি (AAP)। বিজেপি (BJP) পেয়েছে ১০৪টি আসন। কিন্তু তবুও দিল্লি পুর নিগমের নিয়ন্ত্রণ শেষ পর্যন্ত তাদের হাতেই থাকবে তো? এই নিয়ে সংশয়ে কেজরিওয়ালের দলই। আশঙ্কা, ‘চণ্ডীগড় মডেল’ অনুসরণ করে দিল্লি পুরসভাতেও শেষ পর্যন্ত রাশ নিজেদের হাতেই রাখতে বদ্ধপরিকর গেরুয়া শিবির।
দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার আশঙ্কা, বিজেপির ‘খেলা’ শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘আমাদের নবনির্বাচিত কাউন্সিলররা ইতিমধ্যেই ফোন পেতে শুরু করেছেন। কিন্তু আমাদের কাউন্সিলররা বিক্রয়যোগ্য নয়। আমরা ওঁদের বলেছি, সমস্ত কল রেকর্ড করে রাখতে।’
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যের টুইটেও তেমনই ইঙ্গিত মিলছে। তিনি লিখেছেন, ‘এবার দিল্লির মেয়র বেছে নেওয়ার পালা। এখানে কিন্তু কড়া লড়াই কারা করতে পারবে, তার উপরই সব নির্ভরশীল। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি চণ্ডীগড়েও কিন্তু বিজেপির মেয়র রয়েছেন।’ অমিতের এহেন টুইটের পরই কিন্তু আশঙ্কা বেড়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরই চণ্ডীগড়ে পুরসভা আপের দখলে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এক আপ কাউন্সিলরের ভোট বাতিল হয়ে যায়। কংগ্রেস ও নির্দল প্রার্থীদের নিজেদের শিবিরে এনে শেষ পর্যন্ত বিজেপির প্রার্থীই মেয়র হন।
ওয়াকিবহাল মহলের আশঙ্কা, দিল্লিতেও একই ভাবে কাউন্সিলরদের প্রভাবিত করে নিজেদের প্রার্থীকে দিল্লির মেয়র করতে পারে বিজেপি। সেক্ষেত্রে কংগ্রেস ও নির্দল প্রার্থীদের পাশাপাশি কেজরিওয়ালের দল থেকেও জয়ী প্রার্থীদের নিজেদের শিবিরে এনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করার চেষ্টা করতে পারার সম্ভাবনা প্রবল। শেষ পর্যন্ত বিষয়টা কোনদিকে গড়ায় আপাতত সেদিকেই নজর সকলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.