সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৈল শোধনাগার (Oil Refinery) বানাতে গেলে জালিয়ানওয়ালাবাগের মতো ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে, এমনটাই দাবি করেছিলেন শিব সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut)। এহেন মন্তব্যের পরের দিনই তিনি স্বীকার করলেন, মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে নিজেই এই তৈল শোধনাগার গড়তে উদ্যোগী হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, গত দু’বছর ধরে রত্নগিরি জেলার বারসু-সোলগাঁওয়ে তৈল শোধনাগার গড়ে তোলার পরিকল্পনা চলছে। কিন্তু সেই কাজে ক্রমাগত বাধা দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কয়েকদিন আগেই তৈল শোধনাগারের এলাকাটি পর্যবেক্ষণ করার কথা ছিল সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের। সেই খবর পেয়েই অন্তত ৬ হাজার মানুষ ওই এলাকায় হাজির হন। তাঁদের দাবি, প্রয়োজন হলে গুলি খেয়ে প্রাণ দেবেন, কিন্তু বারসুতে শোধনাগার তৈরি হতে দেবেন না। এহেন পরিস্থিতিতে বিশাল এলাকা জুড়ে কারফিউ জারি করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। তারপরেই বিতর্কিত মন্তব্য করেন শিব সেনা সাংসদ।
মহারাষ্ট্রের শিল্পমন্ত্রী উদয় সামন্তকে বিঁধে রাউত বলেন, “গত দু’বছর ধরে এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে আসছে সাধারণ মানুষ। শোধনাগারের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিতেও তাঁরা প্রস্তুত। ইতিমধ্যেই শোধনাগারের এলাকায় পৌঁছে গিয়েছেন স্থানীয়রা। আমার মনে হয়, সাধারণ মানুষকে সরিয়ে দিতে গুলি চালাবে সরকারি পুলিশ। ফলে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের মতো বারসু কাণ্ডও হতে পারে।”
তবে শিব সেনা সাংসদের এহেন মন্তব্যের পালটা দিয়েছে বিজেপিও। সামন্ত বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য এমন বার্তা দিয়েছেন রাউত। তাঁর দলের সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, বারসুতে যেন তৈল শোধনাগার গড়ে তোলা হয়। তবে এই অভিযোগেও পালটা মুখ খুলেছেন শিব সেনা সাংসদ। তিনি বলেন, “প্রথমে নানারে এই শোধনাগার গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সেখানে স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদ করায় বিকল্প হিসাবে বারসুর নাম প্রস্তাব করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী।” অন্যদিকে, তৈল শোধনাগার সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভ দেখানোর কারণে ১০০ জন মহিলা-সহ বহু মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.