সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিমদের প্রবেশ রুখতে সুপ্রিম কোর্টে জোরালো সওয়াল কপিল সিব্বলের। তাঁর দাবি, ওয়াকফ বোর্ড কোনওভাবেই ধর্মনিরপেক্ষ নয়। এটা মুসলিমদের ধর্মীয় সম্পত্তি রক্ষার জন্য তৈরি। তাহলে এই বোর্ডে অমুসলিমদের প্রবেশ করানোর চেষ্টা কেন করছে সরকার? প্রশ্ন বর্ষীয়ান আইনজীবীর।
ওয়াকফ সংশোধনী আইন মুসলিম স্বার্থবিরোধী বলে অভিযোগ তুলে বড়সড় আন্দোলনের পথে হেঁটেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ। দেশজুড়েই বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে। নয়া ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। ইসলামিক সংগঠন তো বটেই, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফেও একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে সেই সব মামলারই যৌথ শুনানি ছিল। এদিন ওই শুনানিতেই ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিমদের প্রবেশ রুখে দিতে জোরাল সওয়াল করলেন সিব্বল।
সিব্বলের দাবি, নতুন আইনে ওয়াকফ কাউন্সিলের গঠন এমন পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে যে মহিলারাই তাতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়তে পারেন। সিব্বলের সওয়াল, দেশের অন্য কোনও ধর্মীয় বোর্ডে অন্য ধর্মের প্রতিনিধি নেই। হিন্দু বা শিখদের কোনও বোর্ডে কোনও অহিন্দু বা মুসলিম নেই। তাতে প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই প্রশ্ন করেন, বুদ্ধগয়ার ক্ষেত্রে তো এই নিয়ম মানা হয় না। তাতে সিব্বল বলেন, “আমি জানতাম এই প্রসঙ্গটি আপনি তুলবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে ভুলে গেলে চলবে না। অনেকাংশ হিন্দু এবং বুদ্ধদের ধর্মস্থান একই।” সিব্বলের সাফ কথা, “ওয়াকফ বোর্ড তৈরির সময়ই ধর্মনিরপেক্ষ ছিল না। এটার কাজই হল মসজিদের সম্পত্তি রক্ষা করা।”
তবে জোরালো সওয়াল শোনার পরও এদিন অন্তর্বর্তী কোনও নির্দেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই জানিয়েছেন, “খুব জোরালো কোনও যুক্তি না থাকলে আইনসভায় পাশ হওয়া কোনও আইনে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.