ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নামেই জেলবন্দি। বাস্তবে প্যারোলের সুবিধাকে হাতিয়ার করে নিজের ডেরাতেই বেশি সময় কাটাচ্ছেন ধর্ষণ ও খুনের অপরাধী রাম রহিম। বারবার ডেরা সচ্চা সৌদার প্রধানের ছুটির আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় প্রবল বিতর্কের মাঝেই, শীর্ষ আদালতে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। তবে এই জনস্বার্থ মামলা শুক্রবার খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, ডেরার দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০১৭ সালে রাম রহিমকে কুড়ি বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল হরিয়ানার পঞ্চকুলা আদালত। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনার জন্য খুন হতে হয় এক সাংবাদিককে। সেই ঘটনায় আরও তিনজনের সঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রাম রহিম। তবে ২০২০ সালে জেলে যাওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১৬ বারের বেশি তাঁকে প্যারলে মুক্তি দিয়েছে হরিয়ানার বিজেপি সরকার। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে বিপুল সংখ্যক অনুগামী রয়েছে রাম রহিমের। বেছে বেছে এই সব রাজ্যে নির্বাচনের আগে মুক্তি দেওয়া হয়েছে রাম রহিমকে। বারবার এই ছুটির ঘটনায় বিতর্ক চরম আকার নেয়। দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা।
শুক্রবার এই মামলা খারিজ করে শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, এই মামলা কোনওভাবেই জনস্বার্থের সঙ্গে জড়িত নয়। ফলে এই ইস্যুতে জনস্বার্থ মামলা করা যায় না। পাশাপাশি আদালতের তরফে আরও জানানো হয়েছে, সরকারের তরফে রাম রহিমকে যে প্যারোল দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ম মেনেই হচ্ছে। এতে কোনও অনিময় হয়নি। মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, সরকারের তরফে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে রাম রহিমকে। তিনি যাতে জেলের বাইরে বেশি সময় থাকতে পারেন তার জন্য ছুটির ব্যবস্থা করা হচ্ছে অন্যায়ভাবে। যদিও রাম রহিমের আইনজীবী মকুল রোহতগি বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থে এই ধরনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে জানা যাচ্ছে, জেলে রাম রহিমকে দাগি অপরাধীর শ্রেণিতে রাখেনি হরিয়ানা সরকার। এ বিষয়ে সরকারের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, উনি হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় অপরাধী, হত্যাকারী নন। ফলে ওনাকে দাগি অপরাধীর শ্রেণিতে রাখার যুক্তি নেই। এর ভিত্তিতেই লাগাতার প্যারোলে মুক্তি পাচ্ছেন রাম রহিম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.