সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় যুবকের প্রেমের টানে সীমান্ত পেরনো পাকিস্তানি যুবতীর সঙ্গে সেদেশের গোয়েন্দা বিভাগের যোগ থাকতে পারে। এমনটাই সন্দেহ করছেন উত্তরপ্রদেশের এটিএস আধিকারিকরা। সূত্র মারফত বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন আধিকারিকরা, তার ভিত্তিতেই সন্দেহের মাত্রা আরও বেড়েছে। জানা গিয়েছে, সীমা হায়দর (Seema Haider) নামে ওই তরুণীর ভাই ও অন্যান্য আত্মীয়রা পাক সেনায় নিযুক্ত রয়েছেন। তাছাড়াও ভারতে এসে মানিয়ে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন পরিকল্পনা করে গ্রাম্য বধূর ছদ্মবেশ নিয়েছেন সীমা। বেশ কয়েকজন ভারতীয়র সঙ্গে আগে থেকেই সীমার পরিচয় ছিল বলেই জানা গিয়েছে।
কয়েকদিন আগে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান সীমা ও তাঁর স্বামী শচীন। পরে জানা যায়, তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সন্ত্রাসদমন শাখা। তারপরেই প্রকাশ্যে আসে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য। গোয়েন্দা আধিকারিকদের মতে, সীমা আসলে খুবই শিক্ষিত ও ইংরাজি বলায় পারদর্শী। শহুরে আদবকায়দাতেই অভ্যস্ত তিনি। কিন্তু ভারতে আসার আগে নিজেকে একেবারে বদলে ফেলেন। গ্রাম্য টানে কথা বলা থেকে শুরু করে ভারতীয় বধূর আদলে নিজেকে গড়ে তোলেন। নিজের চার সন্তানকেও রীতিমতো প্রশিক্ষণ দেন সীমা।
তাছাড়াও জানা গিয়েছে, সীমার পরিবারের একাধিক সদস্য পাকিস্তান (Pakistan) সেনায় কর্মরত। অতিমারীর সময়ে ভারতীয় যুবক শচীনের সঙ্গে আলাপ হওয়ার আগে থেকেই বহু ভারতীয়ের সঙ্গে সীমার পরিচয় ছিল। তাঁদের অনেকেই দিল্লির বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সীমার ফোন। সেখান থেকেই একাধিক ফোন নম্বর উদ্ধার হয়েছে। আপাতত সেই ফোন নম্বর গুলি নিয়ে তদন্ত চলছে।
নয়ডার (Noida) বাসিন্দা শচীনের প্রেমে পড়ে ভারতে এসেছেন, এমনটাই দাবি ছিল পাক যুবতী সীমার। নেপাল ঘুরে অবৈধভাবে ভারতে আসার অভিযোগে তাঁদের আটকও করা হয়। পরে জামিন পেয়ে শচীনকে বিয়ে করেন সীমা। চার সন্তানকে নিয়ে শচীনের বাড়িতেই সংসার শুরু করেন তাঁরা। তবে সীমার বিরুদ্ধে তদন্ত এখনও চলছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই পাক যুবতীর উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ আরও বাড়ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.