সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে দেশের বণিক মহলের বড় অংশ হতাশ হয়েছিল। তাদের মনোভাব যে অমূলক নয় তা স্পষ্ট হয়ে গেল শেয়ার বাজারের হাবভাবে। শুক্রবার বাজার খুলতেই হু হু করে পড়ল সেনসেক্স। পতন হয় নিফটিরও। দেড় বছর পর একদিনে বাজারে এতটা পতন হয়নি।
[লজ্জা! ‘পদ্মাবত’ দেখতে গিয়ে হলের মধ্যেই ধর্ষিতা যুবতী]
বাজারের এমন প্রবণতায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আমানতকারীরা। শেয়ার বিক্রি করে টাকা তোলার হিড়িক পড়ে যায়। যার জেরে বাজেটের পরের দিন শেয়ার বাজারে ধস নামে। এদিন বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে ৫৮০ পয়েন্ট পড়ে সেনসেক্স। সেনসেক্স নেমে দাঁড়ায় ৩৫,৩১৪ পয়েন্টে। পাশাপাশি নিফটিও নিম্নমুখী হতে থাকে। ৩০০ পয়েন্ট পড়ে নিফটে এসে দাঁড়ায় ১০,৮২৬ পয়েন্টে। এক ধাক্কায় বাজারের এতটা পতন দালাল স্ট্রিটে স্বাভাবিক ভাবে আমানতকারীদের চিন্তায় ফেলে দেয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন জেটলির বাজেটে এলসিটিজি ট্যাক্সের যে প্রস্তাব রয়েছে তার প্রভাবে বাজারের এই হাল। কারণ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ১ লাখ টাকার বেশি ইকুইটি কেনাবেচায় ১০ শতাংশ ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স বসিয়েছেন। এই পতনের ধাক্কা সবথেকে বেশি পড়েছে ব্যাংঙ্কিং সেক্টরে। অটোমোবাইল, মেটাল, ফিনান্সিয়াল সংস্থাগুলিতেও পতনের প্রভাব পড়ে। বাজাজ ফিনান্স, বাজাজ অটো, আল্ট্রাটেক সিমেন্ট, এক্সিস ব্যাঙ্ক, এইচপিসিএলের মতো সংস্থা এদিন সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রায় প্রতিটি সংস্থার গড়ে ৪ থেকে ৬ শতাংশ শেয়ার পড়ে যায়। তবে এই অবস্থায় আইটি সংস্থাগুলিতে সেভাবে আঁচ পড়েনি। এদিন ডলারের নিরিখে টাকার দামও বেশ কিছুটা পড়ে।
[OMG! বিয়ের আগের রাতে যুবকের সঙ্গে এ কী করল দুষ্কৃতীরা!]
২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে এতটা পরিমান সেনসেক্স পড়েছিল। দেড় বছর পর বাজারের এই হালে চিন্তা বাড়ছে আমানতকারীদের মধ্যে। বাজেটের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শেয়ার বাজারের এই পরিস্থিতিতে অনেকে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। শেয়ার বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বর্তমান বাজারের যা হাল তাতে আমানতকারীদের বড় অংশ শেয়ার নতুন করে কেনার ঝুঁকি নেবেন না। কিছু দিন পর হয়তো বাজারে স্থিতাবস্থা আসতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.