মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: কাশ্মীরে ফের বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল করলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হল তেহরিক-ই-হুরিয়তের চেয়ারম্যান মহম্মদ আশরাফ সেরাইয়ের ছেলে-সহ দুই হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি। ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীনগরের নাওয়াকদল এলাকার কানেমাজারে। উভয়পক্ষের গুলির লড়াইয়ে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক কনস্টেবলেরও মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া জখম হয়েছেন একজন সিআরপিএফ জওয়ান ও পুলিশকর্মী-সহ চারজন।
স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে শ্রীনগরের নাওয়াকদল এলাকার কানেমাজারে বেশ কয়েকজন হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি লুকিয়ে আছে বলে খবর পান গোয়েন্দারা। এরপর রাত দুটো নাগার ওই এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান চালাতে শুরু করে সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। দুটি বাড়ি ঘিরে ফেলে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। জঙ্গিরা পালটা গুলি চালাতে শুরু করলে উভয়পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই শুরু হয়। পাঁচ ঘণ্টা ধরে লড়াই চলার পরেও ওই দুটি বাড়ির মধ্যে ঢুকতে পারেননি নিরাপত্তারক্ষীরা।
মঙ্গলবার ভোরবেলা কিছুক্ষণের জন্য গুলি লড়াই বন্ধ থাকার পর সকাল আটটা থেকে ফের গুলির লড়াই শুরু হয়। সূত্রের খবর, এই সময় গুলির পাশাপাশি ওই বাড়ি দুটি লক্ষ্য করে গ্রেনেডও ছুঁড়তে থাকেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এরপর ফলে কিছুক্ষণ ভেঙ্গে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বাড়ি দুটি। এরপর ঘটনাস্থল থেকে তেহরিক-ই-হুরিয়তের চেয়ারম্যান আশরাফ সেহরাইয়ের ছেলে জুনেদ সেহরাই ও আর একজন হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই জঙ্গির নাম তারিক আহমেদ শেখ। সে পুলওয়ামার বাসিন্দা। উভয়পক্ষের এই গুলির লড়াইয়ে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক কনস্টেবলেরও মৃত্যু হয়েছে। এর পাশাপাশি এই ঘটনায় একজন পুলিশকর্মী ও সিআরপিএফ জওয়ান-সহ চারজন জখম হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার জেরে বিএসএনএল পোস্টপেড কানেকশন ছাড়া সমস্ত মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.