মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: কাশ্মীরে (Kashmir) অব্যাহত সন্ত্রাসদমন অভিযান। গত ২৪ ঘণ্টায় দুটি এনকাউন্টারে (Encounter) সন্ত্রাস জর্জরিত দক্ষিম কাশ্মীরে খতম হয় সাত সন্ত্রাসবাদী (Terrorist)। অভিযানে শহিদ হয়েছেন এক সেনা জওয়ানও। শুক্রবার রাতভর দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় (Pulwama) গুলির লড়াই চলে। সেই অভিযানে তিন জঙ্গিকে খতম করে যৌথবাহিনী। পালটা গুলিতে জখম হন এক জওয়ানও। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলওয়ামার জাডুরা (Zadoora) এলাকায় লস্কর-ই-তৈয়বার (LeT) জঙ্গিরা গাঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে খবর পায় যৌথবাহিনী। এরপরই রাতের অন্ধকারে গোটা এলাকা ঘিরে শুরু হয় অভিযান। এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালাতে থাকে যৌথবাহিনী। তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়েই এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় জওয়ানরাও। লস্করের সদস্যদের আত্মসমর্পনের কথা বললেও তারা রাজি হয়নি। দুপক্ষের গুলির লড়াইয়ে তিন জেহাদি নিকেশ হয়েছে বলে খবর। সন্ত্রাসবাদীদের ছোঁড়া গুলিতে জখম হন এক জওয়ান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ৯২ বেসের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযান শেষ হলেও গোটা এলাকা ঘিরে তল্লাশি চলছে। জানা গিয়েছে, নিহত তিন জঙ্গিই লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য। তবে তাদের নাম এখনও জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই এক অভিযান চলাকালীন সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হয়েছে চার জেহাদি। গোপন খবরের ভিত্তিতে এদিন সন্ত্রাস জর্জরিত দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলায় অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। গোয়েন্দাদের রিপোর্ট মতো কিলোরা এলাকায় জঙ্গিঘাঁটি ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা। সেখানেই দুপক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলে। নিহত হয়েছে চার সন্ত্রাসবাদী। একজন আত্মসমর্পন করেছে। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে একজনের নাম শকুর পারে। সে আল বদর জঙ্গি গোষ্ঠীর ডিস্ট্রিক্ট কমান্ডার। অন্যজনের নাম সোহেল ভাট। এমনটাই জানিয়েছেন কাশ্মীর পুলিসের আইজিপি। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক হাতিয়ার উদ্ধার করা হয়। একইদিনে দক্ষিণ কাশ্মীরে পরপর দুই অভিযানে যৌথবাহিনীর সাফল্য নিসন্দেহে তাঁদের মনোবল আরও খানিকটা বাড়িয়ে দেবে। পাশাপাশি, নশকতামূলক কার্যকলাপেও কিছুটা লাগাম পরানো যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.