সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরজেডি (RJD) নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সাহাবুদ্দিনের শেষকৃত্যকে ঘিরে সরগরম বিহারের রাজনীতি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে লালুপ্রসাদ যাদবের দল থেকে পদত্যাগ করেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন নেতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তেজস্বী যাদবকে।
কয়েকদিন আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে দিল্লির একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় বিহারের সিওয়ান জেলার ‘বাহুবলি’ নেতা মহম্মদ সাহাবুদ্দিনের। তারপর করোনা প্রোটোকল মেনে রাজধানীর একটি গোরস্থানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষিপ্ত আরজেডি’র মুসলিম নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, লালুপ্রসাদ চাইলে সিওয়ানে কবর দেওয়া যেত সাহাবুদ্দিনকে। মৃত বাহুবলি নেতার সমর্থকদের অভিযোগ, সাহাবুদ্দিনের মৃত্যুতে যখন গোটা এলকায় শোকের ছায়া নেমেছে, তখন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পরাজয় নিয়ে উল্লাসে ব্যস্ত ছিলেন লালু ও তাঁর পার্টির নেতাকর্মীরা। ইতিমধ্যে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন আরজেডি’র রাজ্য সহ-সভাপতি সেলিম পারভেজ। তাঁর অভিযোগ, লালুপ্রসাদ যাদবের অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন সাহাবুদ্দিন। তিনি দলের জন্য অনেক কিছু করেছেন। কিন্তু তাঁর পাশে দল দাঁড়ায়নি। একইভাবে, দল ছেড়েছেন আরজেডি’র আইটি সেলের প্রদেশ সচিব মহম্মদ সোহরাব কুরেশি। লালুপ্রসাদ যাদব ও তাঁর পরিবারকে মুসলিম বিরোধী বলে তোপ দেগেছেন আরজেডি’র সংখ্যালঘু সেলের প্রাক্তন অধ্যক্ষ আফ্রিদি রহমান। এহেন পরিস্থিতিতে জানা যাচ্ছে যে সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী হিনা শহাবের সঙ্গে যোগাযোগ করছে নীতিশ কুমারের পার্টি জনতা দল (ইউনাইটেড)। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে সরগরম বিহারের রাজনীতি।
উল্লেখ্য, রাজনীতিবিদের চাইতেও বাহুবলি হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিলেন সাহাবুদ্দিন। বিহারের সিওয়ান জেলায় লালুপ্রসাদ যাদবের আমলে তাঁর দাপটে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত বলে দাবি। বেশ কয়েকটি দুর্নীতি, খুন ও অপহরণের মামলা ছিল ওই প্রাক্তন সাংসদের নামে। একটি খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে দিল্লির তিহার জেলে সাজা ভোগ করেছিলেন তিনি। কিন্তু ওই হাই সিকিউরিটি কারগারেও থাবা বসায় করোনা। মারণ রোগে আক্রান্ত হন অনেক বন্দি। সেখানেই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর চিকিৎসা চলছিল দিল্লির একটি হাসপাতালে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.