সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রচার বলছে, রাজ্যের মানুষের জন্য কম কিছু করেননি মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। ১ টাকায় ৬ কেজি চাল দেওয়ার বন্দোবস্ত তো রয়েছেই। এছাড়া রয়েছে দুঃস্থ পরিবারের মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার জন্য অনুদান-সমৃদ্ধ কল্যাণলক্ষ্মী এবং শাদি মুবারক প্রকল্প। দুঃস্থ বর্যীয়ানদের জন্য রয়েছে পেশনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া আসরা প্রকল্প। গরিব মানুষের জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে আবাসন। গর্ভবতী এবং অসুস্থ নারীদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে আরোগ্যলক্ষ্মী প্রকল্প!
এত কিছুর পরেও জনদরদী সরকার হিসেবে নাম কিনতে পারলেন না কেসিআর। রাজ্যের দ্বিতীয় জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যে উৎসবের আয়োজন হয়েছে, তার জন্য বর্যীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং-এর রোষের মুখে পড়লেন তিনি। বিপুল খরচ করে উৎসব পরিচালনার জন্য রোমের অত্যাচারী সম্রাট নিরোর সঙ্গে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর তুলনা টানলেন দিগ্বিজয় সিং।
টুইটারে কেসিআর-কে কটাক্ষ করে লিখেছেন দিগ্বিজয়, ”কেসিআর উৎসব আয়োজন করে এবং বড় বড় বিজ্ঞাপন দিয়ে ১০০ কোটিরও বেশি উড়িয়ে দিয়েছেন! এ ঠিক আরেকজন নিরো যিনি উৎসবে মেতে রয়েছেন! অন্য দিকে না খেতে পেয়ে মরছে রাজ্যের গরিব মানুষ! ছিঃ! ধিক্কার আপনাকে!”
এখানেই শেষ নয়। বিজ্ঞাপনী প্রচারে উপরে বলা যে সব প্রকল্পের নাম রয়েছে, সেগুলোকেও নস্যাৎ করে দিয়েছেন দিগ্বিজয়। লিখেছেন, ”এই দুই বছরে কেসিআর পরিবার ছাড়া তেলেঙ্গানায় আর কারও সমৃদ্ধি তো চোখে পড়ল না! যে দিকেই তাকাই, কেবল মৃত্যুমিছিল! হয় লোকে অনাহারে মরছে, নয় তো হৃদরোগে! এছাড়া তীব্র বেকার সমস্যা তো রয়েছেই!”
অভিযোগ নিঃসন্দেহে গুরুতর! বিশেষ করে যে রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে পৃথক হয়ে সবে পথ চলা শুরু করেছে, তার পক্ষে তো বটেই!
কিন্তু, তেলেঙ্গানার এই জন্মের নেপথ্যে কেসিআর-এর কোনও অবদানও দেখতে পাচ্ছেন না দিগ্বিজয়। তিনি, আজ তেলেঙ্গানার জন্মদিনে কৃতিত্বের পুরোটাই অর্পণ করেছেন সোনিয়া গান্ধীকে।
বলেছেন, ”তেলেঙ্গানার জনসাধারণকে শুভেচ্ছা জানাই। আর ধন্যবাদ জানাই সোনিয়া গান্ধীকে। তাঁর জন্যই তেলেঙ্গানার মানুষের দীর্ঘ দিনের পৃথক রাজ্যের দাবি সফল হয়েছে!”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.