সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মদ কাণ্ডে উত্তাল ‘ড্রাই’ বিহার। খাতায় কলমে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও জয়প্রকাশ নারায়ণের রাজ্যে কারণসুধার করুণায় প্রাণহানির ঘটনা নতুন নয়। আর প্রতিবারের মতোই এবারও রাজনীতির আঙিনায় শুরু হয়েছে অভিযোগ, পালটা অভিযোগের পালা। বুধবার সারন জেলায় ঘটা বিষমদ কাণ্ডকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠে বিহার বিধানসভা। বিজেপি বিধায়কদের বাক্যবাণে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। প্রাক্তন জোট শরিকদের ‘মাতাল’ বলে তোপ দাগেন তিনি।
২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বিহারে মদবিক্রি নিষিদ্ধ করে দেন নীতীশ। রাজ্যকে নেশামুক্ত করে তোলাই নাকি ছিল উদ্দেশ্য। অভিয়োগ, সরকারি নিষেধাজ্ঞার ফলে মদের একটি বিরাট ‘কালোবাজার’ তৈরি হয়েছে রাজ্যটিতে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত সতর্কতা জলাঞ্জলি দিয়ে বিপুল মাত্রায় তৈরি হচ্ছে চোলাই মদ, স্থানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ‘দেশি’।
এহেন অবস্থায় সারন জেলায় বিষমদ পান করে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২০ জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এনিয়ে উত্তাল হয়ে উঠে বিহার বিধানসভা। রাজ্যের ‘সুরা নীতি’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা বিজয় কুমার সিনহা। আর এতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। প্রাক্তন জোট শরিকদের ‘মাতাল’ বলে তোপ দাগেন তিনি। নীতীশ বলেন, “তোমরা মাতাল হয়ে গিয়েছ।” এদিকে, রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের তোপ, “বিহারে মদ ঈশ্বরের মতো, আছে কিন্তু দেখা যায় না।”
বিযমদ খেয়ে সারন জেলার ইসুয়াপুর থানার দোলিয়া গ্রাম এবং মাশরক থানার ইয়াদু মোরে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২০ জনের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকেই। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়াও সারন জেলায় বিষমদের বলি আরও চার। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মথুরার ডিএসপি জানিয়েছেন, গ্রামবাসীদের মধ্যে যাঁরা মদ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাঁদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ছাপড়া সদর হাসপাতালে প্রাণ হারানো অমিত রঞ্জনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী তদন্ত করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.