নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: ‘খামোশ’ – এই একটি শব্দেই ঘায়েল করে দিতেন শত্রুপক্ষকে। কিন্তু এখন তিনি বাংলার জনপ্রতিনিধি। তাই বাংলা ভাষার সঙ্গেও একাত্ম হচ্ছেন স্বেচ্ছায়। ‘বিহারিবাবু’র তকমা ঘোচাতে তাই সংসদে পা রেখেই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তুললেন আসানসোলের তৃণমূল (TMC) lসাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা (Shatrughan Sinha)। সোমবার সংসদে বাদল অধিবেশনের শুরুর দিনই তিনি শপথ নিলেন। হিন্দি ভাষায় শপথবাক্য পাঠ করলেও শেষে ‘জয় বাংলা’ বলতে ভুললেন না। আর এখানেই তিনি হয়ে উঠলেন বাঙালির আপনজন।
পরনে লাল চেক শার্ট, কালো জ্যাকেট, সঙ্গে কালো ট্রাউজার এবং চোখে সর্বক্ষণের সঙ্গী সানগ্লাস। একেবারে নায়কের মতোই সোমবার সংসদে ঢুকলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। যদিও অধিবেশন কক্ষে ঢোকার আগেই সানগ্লাসটি খুলে ফেলেন। এরপর তাঁকে শপথ পড়ান লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। হিন্দিতেই শপথ নেন শত্রুঘ্ন। আর তারপরই বলে ওঠেন – ‘জয় হিন্দ, জয় বাংলা’। শপথ নিতে মঞ্চে ওঠার পথে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান সোনিয়া গান্ধী-সহ কংগ্রেস সাংসদরা। শুধু তাইই নয়,সংসদে ভবনে প্রবেশের মুখে শত্রুঘ্নর সঙ্গে দেখা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ির (Nitin Gadakri)। হেসে করমর্দন করে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন গড়কড়ি।
আসলে, উপনির্বাচনে যখন আসানসোল থেকে শত্রুঘ্ন সিনহার নাম ঘোষণা করা হয় তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে, সেসময় যথেষ্ট সমালোচনা হয়েছিল। ‘বিহারিবাবু’ বাংলার জনপ্রতিনিধি হবেন কীভাবে, এই প্রশ্ন তুলে তাঁর যোগ্যতা নিয়ে কথা হয়। কিন্তু তিনি লক্ষ্যে স্থির, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শকে পাথেয় করে বিপুল জনরায়ে জিতেছেন আসানসোল থেকে।
সোমবার সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন। আর তারপর ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর মুখোমুখি হয়ে একেবারে ঝরঝরে বাংলায় বললেন, ”আমি কলকাতায় শিগগিরই ফিরব। ওখানে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি চলছে। আমাকে সবাই জানিয়েছেন। আমি ২০ তারিখের মধ্যেই কলকাতায় যাচ্ছি। একুশের মঞ্চে থাকব।” প্রসঙ্গত এদিন সংসদে শপথ নেওয়ার পর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন শত্রুঘ্ন সিনহা। আর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কারণে এদিন দুপুর ২টো পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.