সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিগত তিন বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপিকে ক্রমাগত আক্রমণ করে গিয়েছে শিব সেনা। কয়েকদিন আগেই শিব সেনা স্পষ্ট ভাষায় জানায় লোকসভা নির্বাচনে তারা একাই লড়বে। সেনাকে পাল্টা দিতে মহারাষ্ট্রে এসে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ জানান, মহারাষ্ট্রে তাঁরা একা লড়তে ভয় পান না। কিন্তু ভোট বড় বালাই। তাই লোকসভা ভোটের মুখে এই দুই দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মহারাষ্ট্রে তারা আসন সমঝোতা করেই লড়বে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাজ্যের ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৫টি বিজেপি এবং ২৩টিতে শিব সেনা লড়াই করবে। অন্যদিকে রাজ্য বিধানসভার ২৮৮টি আসন সমানভাবে ভাগ করে নেবে এই দুই দল।
উত্তরপ্রদেশের পর মহারাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি লোকসভা আসন রয়েছে। বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে ভাল ফল করতে মরিয়া শাহ। সোমবার এক সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস এবং শিব সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। এই যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ফড়নবিস বলেন, “রাজ্যের মানুষের আবেগের কথা মাথায় রেখেই বিজেপি ও শিব সেনা লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে একযোগে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যের ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে জোট ৪৫টিতেই জয়ী হবে।” শাহ বলেন, বিজেপি ও শিব সেনার কোটি কোটি সমর্থকের ইচ্ছা দু’ দল জোট বেঁধে লড়াই করুক। মানুষের সেই ইচ্ছাকেই সম্মান জানাতেই বিজেপি ও শিব সেনা জোটবদ্ধ হয়েই লড়াই করবে।”
অন্যদিকে শিব সেনা প্রধান বলেন, “রামমন্দির হল দু’ দলের যোগসূত্র। যত সম্ভব শীঘ্র রামমন্দির গড়ে তোলা হবে।” ফড়নবিস আরও বলেন, “বিজেপি ও শিবসেনা দু’ দলই জাতীয় স্বার্থে রাজনীতি করে থাকে। মানুষের জন্যই রাজনীতি করে এই দুই দল। স্বাভাবিকভাবেই এই দু’ দল জোট করেই লড়তে চলেছে। প্রশ্ন হল বিজেপি হঠাৎ করে কেন সেনার সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিল? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ বারে ২০১৪ সালের মতো মোদি হওয়া একেবারেই নেই। বিজেপি এবং শিব সেনা পৃথকভাবে লড়লে আদতে ফায়দা হবে কংগ্রেস ও এনসিপি জোটের। তই কেন্দ্রে ক্ষমতা ধরে রাখতে শিব সেনার সঙ্গে সমঝোতায় তাগিদটা বিজেপিরই বেশি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.