সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার বিরুদ্ধে লড়াতে ভরসা ভ্যাকসিন (Vaccine)। অথচ সেই টিকার জোগান নিয়ে হাজারো অভিযোগ। পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা মিলছে না বলে বারবার অভিযোগ উঠছে। আর টিকার এই টানের জন্য কেন্দ্রকেই দায়ী করছেন রাজ্য সরকার ও বিরাধীরা। এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আঙুল তুলল টিকা প্রস্তুতকারক সেরাম ইনস্টিটিউটের পদস্থ কর্তাও।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ভারচুয়াল এক আলোচনাচক্রে অংশ নিয়েছিলেন সেরামের (Serum Institute) এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সুরেশ যাদব। সেখানেই কেন্দ্রের সমালোচনা করেন তিনি। সুরেশের কথায়, “মজুত টিকার পরিমাণ না জেনেই দেশজুড়ে গণটিকাকরণ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।” তাঁর কথায়, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর গাইডলাইন মেনে টিকাকরণ শুরু করা উচিৎ ছিল।” উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই কেন্দ্র জানিয়েছিল ২-৩ মাসের মধ্যে সেরে ফেলা যাবে করোনার টিকাকরণ। কিন্তু সেই দাবি উড়িয়ে সেরাম কর্তা আদর পুনাওয়ালা জানান, ২-৩ মাসের মধ্যে টিকাকরণ সেরে ফেলা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। এবার কেন্দ্রের টিকানীতির বিরুদ্ধে সরব হলেন সেরামেরই এক পদস্থ কর্তা।
সুরেশ যাদব আরও জানিয়েছেন, প্রথমে ৩০ কোটি মানুষের টিকাকরণের জন্য ৬০ কোটি ডোজ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। সেই লক্ষ্যপূরণ হওয়ার আগেই ষাটোর্ধ্ব সকলের টিকাকরণ শুরুর কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই জেনেও ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ কর্মসূচি ঘোষণা করে দেয় সরকার। টিকার জোগানের ঘাটতি নিয়ে পরোক্ষে কেন্দ্রকেই দায়ী করেছেন তিনি। সেরাম আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ভারতে টিকার ঘাটতি থেকে একটি বড় শিক্ষা পাওয়া গিয়েছে। কী সেই শিক্ষা? সেরামের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সুরেশ যাদবের কথায়, “এই ঘটনা আমাদের বড় শিক্ষা দিয়ে গেল। কোনও পণ্যের সরবরাহ কতটা তা জেনে তবেই তার অবাধ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া উচিৎ।” উল্লেখ্য দিন কয়েক আগে টিকাকরণ নিয়ে একই সুর শোনা গিয়েছিল নীতি আয়োগের এক কর্তার গলাতেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.