সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনপ্রিয় গায়ক তথা অভিনেতা লাকি আলির জমি হাতিয়ে নিয়েছেন এক আইএএস আধিকারিক! সম্প্রতি এমনই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল শুরু হল কর্নাটকে। লাকি আলির অভিযোগ, শীর্ষ আধিকারিক হওয়ার সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমি হাতিয়ে নিয়েছেন আইএএস আধিকারিক রোহিণী সিন্ধুরি। এই ঘটনায় সিন্ধুরি ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন লাকি।
এফআইআরে লাকি আলির অভিযোগ, ইয়েলাহাঙ্কার কাঞ্চনাহাল্লি এলাকায় অবস্থিত তাঁর কৃষিজমি অবৈধভাবে দখল করেছেন ওই আইএএস কর্তা। এর জন্য রোহিণীর স্বামী ও তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপত্তিশালী পরিবার সরকারি ক্ষেত্রে বিপুল টাকার লেনদেনও করেছে। এই ঘটনায় ইয়েলাহাঙ্কা নিউ টাউন থানায় অভিযোগ দায়েরের কথাও এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন লাকি। তাঁর দায়ের করা এফআইআরে নামে রয়েছে আইএএস অফিসার রোহিণী সিন্ধুরি, তাঁর স্বামী সুধীর রেড্ডি, দেওর মধুসূদন রেড্ডি-সহ একাধিক জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন লাকি আলি।
জানা যাচ্ছে, ইয়েলাহাঙ্কার কাঞ্চনাহাল্লি এলাকায় অবস্থিত এই জমি নিয়ে লাকি আলি ও আইএএস আধিকারিক রোহিণী সিন্ধুরির দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। কয়েক বছর আগে, লাকি আলি সোশাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেছিলেন, স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা ওই আইএস অফিসারের পক্ষে কাজ করছেন। তিনি এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতনদের অনুরোধ জানান। লাকি আলী বলেন, ‘জমি মাফিয়ারা অবৈধভাবে আমার কৃষিজমি দখলের ষড়যন্ত্র করেছে। আর এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আইএএস আধিকারিক রোহিণী সিন্ধুরি।
উল্লেখ্য, কর্নাটকে আইএএস আধিকারিক রোহিণী সিন্ধুরিকে বিতর্ক অবশ্য এই প্রথমবার নয়। এর আগেও আরেক আইপিএস অফিসার ডি রূপার সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন অভিযুক্ত রোহিণী সিন্ধুরি। আইপিএস অফিসার রূপার অভিযোগ, রোহিণী নিজের একটি ছবি বেশ কয়েক জন পুরুষ আইএএস অফিসারকে পাঠিয়েছিলেন। তার পিছনে বিশেষ উদ্দেশ্য ছিল। এই ঘটনায় সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো কাদা-ছোড়াছুঁড়ি শুরু হয়েছিল আইপিএস ডি রূপা ও আইএএস রোহিণী সিন্ধুরির। সেই ঘটনার পর নতুন করে বিতর্কে কর্নাটকের এই আইএএস কর্তা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.