ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষক আন্দোলনের মূল মঞ্চের পাশ থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া দেহ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় দিল্লি-হরিয়ানা সিংঘু সীমানায়। সেই ঘটনাতেই শুক্রবার সন্ধেয় অপরাধ স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করলেন এক ব্যক্তি।
পুলিশ সূত্রে খবর, সরবজিৎ সিং নামের ওই ব্যক্তি শিখদের নিহং সম্প্রদায়েরই একজন। পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে তিনি বলেন, এই নৃশংস খুনের পিছনে তিনিই দায়ী। মেডিক্যাল পরীক্ষার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, তা ফের খতিয়ে দেখে এই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করবে পুলিশ। শনিবার সরবজিৎ সিংকে আদালতে পেশ করা হবে।
পুলিশ জানায়, নিহতের বয়স ৩৫। নাম লকবীর সিং। দলিত সম্প্রদায়ের এই ব্যক্তির পাঞ্জাবের চিমা খুর্দ গ্রামের বাসিন্দা। বাড়িতে স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে। কোনওপ্রকার অপরাধের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন না তিনি। কিন্তু তাঁকেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হল। শুক্রবার ভোর পাঁচটা নাগাদ লকবীরের দেহ প্রথম দেখতে পাওয়া যায়। এরপর কুন্দলি থানার পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। স্থানীয় হাসপাতালে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। নৃশংসভাবে খুন করা হয় ওই ব্যক্তিকে। হাত কবজি থেকে কেটে নেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, গোড়ালি থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে একটি পায়ের পাতাও। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় একটি ভিডিও। দেখা যায়, শিখদের নিহং সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন নিহত ওই ব্যক্তিকে মারধর করছে। কেটে নেওয়া হয়েছে হাতের কবজিও। যন্ত্রণায় ছটফট করছেন তিনি। রক্তের মধ্যে ভাসছেন ওই যুবক। আর সন্ধেতেই সেই সম্প্রদায়েরই সরবজিৎ সিং আত্মসমর্পণ করলেন।
দশেরার দিন এমন ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। গোটা বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোরও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.