সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকে আড়াই দিনের মধ্যে বিজেপির ক্ষমতা হারানো আর বিরোধী জোটের সরকার গঠনের উদ্যোগ, এই দুই ঘটনার পর জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধীরা যেন নতুন করে অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরুতেই একে গণতন্ত্রের জয় বলে বর্ণনা করেছেন। বর্ণনা করেছিলেন আঞ্চলিক ফ্রন্টের জয় হিসেবেও। তৃণমূল নেত্রী যখন কর্ণাটকের ফলাফলকে অস্ত্র করে ফেডেরাল ফ্রন্টের সুতো পাকাচ্ছেন তখন কিছুটা নীরব ছিলেন বামেরা। এবার সেই নীরবতা ভেঙে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণের পথ বেছে নিলেন তারাও।
আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে কর্ণাটকে বিরোধীদের সরকার গঠনকে নৈতিক হিসেবেই দাবি করলেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। সেই সঙ্গে গোয়া, মণিপুরের উদাহরণ টেনে এনে বিজেপিকে কটাক্ষ করে বললেন, ‘হেরে গিয়েও সরকার গড়া বিজেপির পুরনো খেলা। কিন্তু কর্ণাটকে সেই খেলায় নিজেরাই পরাস্ত হয়েছে বিজেপি।’ আগামিকাল এইচডি কুমারস্বামীর শপথগ্রহণে বামেদের তরফে তিনি এবং কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন হাজির থাকবেন বলেও এদিন জানিয়ে দেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক।
আগামিকালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিরোধী জোটের শক্তি প্রদর্শনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে আগেই। রাহুল গান্ধr, গুলাম নবি আজাদ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অখিলেশ যাদব, মায়াবতী, চন্দ্রবাবু নাইডু, এম কে স্টালিনের মতো বিজেপি বিরোধী প্রথম সারির নেতারা হাজির থাকছেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। সেই তালিকায় এবার যোগ হল দুই শীর্ষ বাম নেতাও। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি বিরোধিতা সুর চড়ালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাবিত ফেডারেল ফ্রন্টে যোগ দেওয়া নিয়ে সংশয়ে বাম দলগুলি। এরাজ্যের স্বার্থে তৃণমূল নেত্রীর থেকে দূরত্ব বজায় রাখায় শ্রেয় মনে করছেন বাম নেতারা। কর্ণাটকে কুমারস্বামীর শপথগ্রহণে হাজির থেকে সেই দূরত্ব কী কিছুটা কমিয়ে দিলেন বামেরা? প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহল। যদিও, বাম নেতাদের স্পষ্ট বার্তা মমতার সঙ্গে কোনওরকম সমঝোতা নয়। কারণ এদিনও সীতারাম ইয়েচুরি পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। রাজ্য পঞ্চায়েত ভোটে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে বলে অভিযোগ সিপিএম সাধারণ সম্পাদকের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.