সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউন। কড়াকড়ি। পুলিশি টহলদারি। এইসব জোরকদমেই চলছিল হৃষিকেশে। উত্তরাখণ্ডের পুলিশ অবশ্য আশা করেনি, এই আতঙ্কিত পরিস্থিতিতে লছমনঝোলার কাছের এক গুহায় পাওয়া যাবে ৬ বিদেশিকে। গুহাতেই গত কয়েক দিন তাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। কারণ, হাতে টাকাপয়সা আর অবশিষ্ট ছিল না।
স্থানীয় বাসিন্দারা শনিবার পুলিশের কাছে এই বিদেশিদের খবর জানিয়েছিলেন। পরে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে দেখে, এই ৬ জনের মধ্যে তিনজন মহিলা ও তিনজন পুরুষ। ইউক্রেন থেকে এসেছেন দু’জন। বাকিরা তুরস্ক, আমেরিকা, ফ্রান্স এবং নেপালের বাসিন্দা। অভিযানকারী দলের নেতৃত্বে থাকা রাজেন্দ্র সিং কাটাইথ জানিয়েছেন, বিদেশিরা তাঁদের সঙ্গে থাকা সব জিনিসপত্র নিয়েই গুহাবাসী হয়ে থাকছিলেন। কাঠ জ্বালিয়ে নিজেদের খাবার তৈরি করছিলেন। জলের জোগান আসছিল গঙ্গা থেকেই। এভাবেই কয়েকটা দিন কেটেছে।
এসব দেখেশুনে তাঁদের ওই গুহা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসা হলে বিদেশিরা জানান, ২৪ মার্চ থেকেই হোটেল ভাড়া করে থাকার মতো টাকা ছিল না। ফলে বিকল্প উপায় ছিল একমাত্র গুহায় থাকা। রাজেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ওই ৬ জন প্রায় দু’মাস আগে এসেছিলেন হৃষিকেশে। লকডাউনের প্রথম পর্বেই গুহায় নিভৃতচারণ করছিলেন। এখন তাঁদের কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। COVID-19এর পরীক্ষাও হয়েছে। আশার কথা, প্রত্যেকেরই রিপোর্ট নেগেটিভ। উত্তরাখণ্ড পুলিশের ধারণা, প্রায় ৬০০-৭০০ জন বিদেশি এখনও হৃষিকেশে আটকে রয়েছেন। যে যার দেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন নিজেরাই। দূতাবাসের দায়িত্বেই তাঁরা ফিরে যাবেন নিজেদের দেশে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.