সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রঙ-বেরঙের রাখি আছে। ভাইরাও আছে। কিন্তু আর বছর কয়েক পরে হয়তো রাখির দিনে খালি হাতেই ঘুরতে হবে তাঁদের। কেননা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ‘সেক্স রেশিও’ বা পুরুষ নারীর অনুপাত যে ইঙ্গিত দিচ্ছে, তাতে রাখির মাহাত্ম্য হয়তো ফিকে হতেই চলেছে।
যদি রাখি বন্ধন সম্প্রীতির উৎসব। বহু বৈচিত্রের এই দেশে বিভেদের মেলবন্ধন, একতার প্রতীক হিসেবেই এই উদযাপন। বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষিতে যে উৎসবকে জাতীয় আন্দোলনের শরিক করে তুলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তবে কালে কালে তা ভাই-বোনের অটুট বন্ধনের স্মারক হয়ে উঠেছে। কিন্তু কতদিন সে বন্ধন থাকবে তা নিয়ে উদ্বেগ আছে। কেননা রাজ্যে রাজ্যে ছেলের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা ক্রমশ কমছে দ্রুত হারে। তা এতটাই উদ্বেগজনক যে, রাখি থাকলেও রাখি পরানোর জন্য বোন হয়তো আর থাকবে না। এমন দিন হয়তো খুব বেশি দূরে নয়।
২০১১ সালের জনগণনার রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতি ১০০০ পুরুষে মহিলার সংখ্যা ৯৪৩ জন। কেরলে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি। প্রতি ১০০০ জনে বেশি ৮৪ জন। কিন্তু হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশের দিকে তাকালে শিউরে উঠতে হয়। প্রতি হাজার জন পুরুষে হরিয়ানায় মহিলার সংখ্যা ৮৭৯ জন। পাঞ্জাবে ৮৯৫ জন। উত্তরপ্রদেশে ৯১২ জন। অর্থাৎ মহিলাদের সংখ্যা যে অনেকটাই কম তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর উপর ‘হাম দো, হামারো দো’ নীতির প্রচার আর একটি দিক খুলে দিয়েছে। অর্থনৈতিক শ্রেণি যাই হোক না কেন, যে কোনও দম্পতিই দু’টি সন্তানই নিতে চান। তার মধ্যে প্রথম সন্তানটি পুত্র হলে আর দ্বিতীয় ইস্যুর দিকে ঝুঁকছেনই না অধিকাংশ দম্পতি। এর ফলে কন্যা জন্মানোর হারও সাম্প্রতিক সময়ে কমেছে মারাত্মক হারে।
কোনও কোনও রাজ্যে কন্যা জন্মানোর হারে সামান্য উন্নতি বিগত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে বটে। তবে সামগ্রিক ছবিটি তাই নয়। ফলে এখনও দেশে কন্যাসন্তানের সংখ্যা অনেক কম। ফলে আগামিদিনে ভাইয়ের হাতে রাখি বাঁধতে কজন বোন উপস্থিত থাকবে, সে উত্তর বেশ উদ্বেগেরই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.