সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলের ভোটের মুখে আরও চাপে কংগ্রেস। এবার দল ছাড়লেন বর্ষীয়ান নেতা পি সি চাকো। দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত চাকো। কেরলের ত্রিশূর কেন্দ্র থেকে লোকসভার সাংসদও ছিলেন একটা সময়। কেরলের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে পি সি চাকোর এই দলত্যাগ কংগ্রেসের জন্য বিরাট ধাক্কা হতে পারে। শুধু দলত্যাগ নয়, পি সি চাকো যেভাবে দলের কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন, তা যে দলের অস্বস্তি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে সেটাও বলার অপেক্ষা রাখে না।
বুধবার কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে বুধবারই নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন চাকো। সংবাদসংস্থা এএনআইকে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে চাকো বলেছেন,”আমি কংগ্রেস ছাড়ছি। এবং দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।” বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বলছেন, দলের অন্দরে সোনিয়া-রাহুলদের ভূমিকা এখন নেহাতই নীরব দর্শকের মতো। কেরলে কংগ্রেস যেভাবে চলছে, তাতে এই দলে কাজ করা মুশকিল। চাকোর অভিযোগ, ভোট মরশুমেও কেরলের কংগ্রেস চলছে শুধু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চান্ডি এবং বিরোধী দলনেতা রমেশ চেন্নিথালার অঙ্গুলিহেলনে। বাকিরা নিজেদের মতো কাজ করতে পারছেন না। চাকোর দাবি, কেরল কংগ্রেস স্পষ্টত দুই শিবিরে বিভক্ত। দল শুধু এই দুই শিবিরের সমন্বয় স্থাপনে ব্যস্ত। কংগ্রেস দলটা চলছে একটা সমন্বয় কমিটির মতো করে। রাহুল-সোনিয়ারা দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রোখার বিস্তর চেষ্টা করছেন। কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না।
দল ছাড়ার পর চাকো যে অভিযোগগুলি করছেন, তা যদি সত্যি হয়, তাহলে কেরলে কংগ্রেস সত্যিই সংকটে। এমনিতে কেরলে পাঁচ বছর পরপর সরকার বদল হওয়ার একটা রীতি দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। কিন্তু একাধিক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, নজিরবিহীন ভাবে এবারে কেরলে ক্ষমতা ধরে রাখতে চলেছে বামেরাই। সদ্য রাজ্যের পুরসভা নির্বাচনেও দেখা গিয়েছে বামেরা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে হারিয়ে কংগ্রেসের থেকে ভাল ফল করেছে। এসবের মধ্যেই যেভাবে কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষের কথা প্রকাশ্যে আসছে, তাতে লড়াইয়ে আরও পিছিয়ে যাচ্ছে শতাব্দীপ্রাচীন দলটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.