সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাইওয়ানের পর দক্ষিণ চিন সাগর। বেজিংয়ের উপর চাপ বাড়াতে কুটনীতিকে প্রধান হাতিয়ার করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার চিনের নাম না করেও নয়াদিল্লি সাফ জানিয়েছে, দক্ষিণ চিন সাগর কারও একার সম্পত্তি নয়।
South China sea is a part of global commons. India has an abiding interest in peace and stability in the region: MEA spokesperson Anurag Srivastava pic.twitter.com/9HLLqrpCC4
— ANI (@ANI) July 16, 2020
বৃহস্পতিবার, দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব সাফ বলেন, “দক্ষিণ চিন সাগরে বৈশ্বিক কর্তৃত্ব আছে। ওই অঞ্চলে শান্তি ও সুরক্ষা বজায় থাকুক এটাই চায় ভারত।” বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের আগ্রাসন মেনে নেবে না ভারত, সেই বার্তা কূটনীতির ভাষায় চিনকে দিয়েছে নয়াদিল্লি। লাদাখে চিনা আগ্রাসন না থামলে ভারতও যে পালটা কূটনৈতিক ফ্রন্টে আগ্রাসী হয়ে উঠবে সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে জিনপিং প্রশাসনকে। এদিকে, লাদাখে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে এদিন অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান, দু’দেশের মধ্যে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা প্রত্যাহারে দু’পক্ষই রাজি হয়েছে।
কেন্দ্রে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোড়াল করেছে নয়াদিল্লি। লাদাখ ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। লালফৌজের আগ্রাসনের বরুদ্ধে প্রয়োজনে ফৌজ পাঠিয়ে ভারতকে মদত করার আশ্বাসও দিয়েছে ওয়াশিংটন। এহেন সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভারতও সাফ করে দিতে চাইছে যে, চিন যদি আগ্রাসন না থামায়, তাহলে দক্ষিণ চিন সাগরে সরাসরি আমেরিকার পাশেই দাঁড়াবে দেশ। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে ভারত-আমেরিকা যুগলবন্দি নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে শি জিনপিং প্রশাসনের।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ চিন সাগরে আধিপত্য নিয়ে চিনের লড়াই সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, জাপান এবং সুদূর ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেও। তাদের ভূখণ্ড থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ার একটি দ্বীপেও মাছ ধরার অধিকার চাইছে চিন। পালটা বেজিংকে শায়েস্তা করতে সেখানে দুটি যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে আমেরিকা। সব মিলিয়ে দক্ষিণ চিন সাগর ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.