১২৫ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন মন্দিরের পুরোহিত সন্তোষ ত্রিবেদী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেদারনাথ মন্দিরের (Kedarnath Temple) গর্ভগৃহে সোনা না পিতলের মোড়ক লাগানো হচ্ছে, সত্য উদ্ঘাটন করবে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। শুক্রবার একথা জানালেন উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) পর্যটন এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী সতপাল মহারাজ। যদিও মন্ত্রীর মতে গোটা বিষয়টি আদতে রাজনৈতিক চক্রান্ত। তথাপি অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। কেই দোষী হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।
চারধাম মহাপঞ্চায়েতের সহ-সভাপতি এবং কেদারনাথ মন্দিরের বর্ষীয়ান পুরোহিত সন্তোষ ত্রিবেদীর দাবি, মন্দির সংস্কারে ১২৫ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। গর্ভগৃহের দেওয়াল সোনার বদলে পিতলের পাত লাগানো হচ্ছে। এই অভিযোগের পাশাপাশি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানেও দাবি করা হয়, মন্দিরের গর্ভগৃহে সোনার বদলে পিতল ব্যবহার করা হচ্ছে।
ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মন্দিরের সংস্কারের কাজে যুক্ত কর্মীরা ব্যাগ থেকে ‘গোল্ড ওয়াশ’ লেখা কৌটো বের করছেন। এরপরেই সোনার মোড়ক নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন অনেকেই। বিতর্কিত ভিডিওগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে কংগ্রেস ও আপ। (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল)। এই ঘটনায় আন্দোলনে নামারও হুমকি দেন বর্ষীয়ান পুরোহিত। যদিও বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটি দাবি করে, সংস্কারের সমস্ত নথি রাখা আছে কর্তৃপক্ষের কাছে। রাজনৈতিক কারণে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।
শুক্রবার উত্তরাখণ্ডের পর্যটন মন্ত্রী জানান, গঢ়বালের কমিশনারের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখবে বিশেষজ্ঞরা। ওই কমিটিতে ধাতুজ্ঞান সম্পন্ন স্বর্ণশিল্পীদেরও রাখা হচ্ছে। মন্ত্রী সতপাল মহারাজ বলেন, “তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে যাঁরাই দোষী সাব্যস্ত হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এইসঙ্গে তিনি জানান, নিয়ম মেনে শ্রী বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটি (BKTS) আইন, ১৯৩৯ অনুযায়ী দান গ্রহণ করা হয়েছিল। এই বিষয়ে রাজ্য সরকার অনুমতি দেয়। এরপরই এএসআই-এর তত্ত্বাবধানে সোনার পাত লাগানোর কাজ শুরু হয়।
মন্দিরের নথি অনুযায়ী কেদারনাথের গর্ভগৃহে ২৩,৭৭৭.৮০০ গ্রাম সোনা লাগানো হয়েছিল। যার বাজার মূল্য ১৪ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা। সংস্কারে কাজে লাগানো হয় একটি তামার প্লেটের। যার ওজন প্রায় এক হাজার কিলোগ্রাম। বাজার মূল্য ২৯ লক্ষ টাকা। জানা গিয়েছে, সংস্কারের কাজে মোট খরচ হয়েছিল ১২৫ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, ১২৫ কোটি টাকা দুর্নীতিরই অভিযোগ এনেছেন পুরোহিত সন্তোষ ত্রিবেদী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.