ফাইল চিত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে (Kashmir) বিধানসভা নির্বাচন আর বেশি দেরি নেই। রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। শুক্রবার জম্মুর উধমপুরের একটি সভায় গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেসকে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) বক্তব্য, ক্ষমতার লোভে ৩৭০ ধারা প্রাচীর তৈরি করে রেখেছিল তারা।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা খর্ব করার পাশাপাশি উপত্যকার পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে নেওয়া হয়। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে (Ladakh) নিয়ে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়। ৩৭০ ধারা বাতিলকে আইনি প্রক্রিয়া বলে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, দ্রুত পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে কাশ্মীরকে। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সেরাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha 2024) মিটলেই কাশ্মীরে ভোটের তোড়জোড় শুরু হবে। এদিন মোদির বক্তব্যে নির্বাচনে কার্যত সিলমোহর পড়ল বলেই মনে করছেন অনেকে। উধমপুরের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মোদি অনেক দূর পর্যন্ত ভাবে। কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হতে আর বেশি দেরি নেই। সেই সঙ্গে রাজ্যের মর্যাদাও ফিরে পাবে কাশ্মীর। আপনাদের মন্ত্রী আর বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে একজোট হয়ে স্বপ্ন দেখবেন।”
তবে মোদির এই কথাকে বিঁধেছেন ভূস্বর্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তাঁর কথায়, “যদি প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকেই কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতেন তাহলে হয়তো ভালো হত। এখন শীর্ষ আদালতের নির্দেশ আছে, তাই বিধানসভা নির্বাচন করাতেই হবে।” তবে ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, বিধানসভা নির্বাচন যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়েও যায়, তাহলেই তো রাজ্যের মর্যাদা ফিরবে না। লোকসভার আগে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই কি রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর কথা মোদির মুখে? উঠছে প্রশ্ন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.