ছবি- প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩ মের পর বাড়ানো হোক লকডাউনের মেয়াদ। কেন্দ্রের কাছে দাবি জানাতে পারে একাধিক রাজ্য সরকার। কেন্দ্র যদি লকডাউনের মেয়াদ নাও বাড়াতে চায়, সেক্ষেত্রে এই রাজ্যগুলি নিজেদের উদ্যোগে তা বাড়িয়ে দিতে পারে, এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে।
দ্বিতীয় দফার লকডাউনের (Lock Down) পর সংক্রমণ বাড়ছেই। সরকারি হিসেবেই আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজারের কাছে। তবে তা সত্বেও সরকার ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করার পথেই হেঁটেছে। শুক্রবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Ministry of Home Affairs) তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পুরসভা এলাকার বাইরে বসতিপূর্ণ এলাকা ও বাজার এলাকায় এখন থেকে দোকানপাট খোলা যাবে। শপস অ্যান্ড এস্ট্যাবলিশমেন্ট আইনের আওতায় যেসব দোকান নথিভুক্ত আছে, তাঁরা শনিবার থেকে ব্যবসা চালু করতে পারবে। নতুন নির্দেশিকার ফলে পুরসভা এলাকার বাইরে বাজার, বা আবাসনের আশেপাশে সব ধরনের দোকান খোলার অনুমতি পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ কর্মচারীকে নিয়ে কাজ করা যাবে। অন্যদিকে পুরসভা এলাকায় পুরসভার অনুমতি নিয়ে একক দোকান এবং বসতিপূর্ণ এলাকায় দোকান খোলা যাবে। ইঙ্গিত মিলেছে ৩ মে’র পর একসঙ্গে না হলেও আস্তে আস্তে তুলে দেওয়া হবে বিধি-নিষেধ।
কিন্তু দিল্লি, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানার মতো রাজ্যগুলি লকডাউন আরও বাড়ানোর পক্ষে। পাঞ্জাব সরকার এ নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ছে। কমিটি চাইলে লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করবে তারাও। উত্তরপ্রদেশ ইতিমধ্যেই ৩০ জুন পর্যন্ত বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে। তামিলনাড়ুও লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করতে পারে। কর্ণাটক সরকার অবশ্য চাইছে শুধু যে যে এলাকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সেগুলিতেই লকডাউন থাক। অন্যদিকে রাজস্থান, ছত্তিশগড়, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং বিহার চাইছে আন্তঃরাজ্য পরিবহণ চালু করা হোক। সুত্রের খবর, বিজেপি শাসিত অন্য রাজ্যগুলি কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষো করছে। কেন্দ্রের নির্দেশ মেনেই কাজ করতে চায় তারা। এরাজ্যের অবস্থান অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ইঙ্গিত দিয়েছেন ৩ মে’র পর ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে দিতে চাইন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.