সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেলে বসেই এনডিএ’র এক বিধায়ককে ফোন করে দলে টানার অভিযোগ। আর সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই নতুন করে বিতর্কে বিহারের (Bihar) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। শুরু হয়েছে তদন্ত। এবার সেই বিতর্কের জেরে রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস তথা RIMS-এর ডিরেক্টরের বাংলোয় বাস উঠল লালুর। তাঁকে পাঠানো হল ওই হাসপাতালের সাধারণ পেইং ওয়ার্ডে।
করোনার আশঙ্কায় গত আগস্ট মাস থেকে এই বাংলোয় রাখা হয়েছে প্রবীণ রাজনীতিবিদকে। রাজনৈতিক মহলের গুঞ্জন, ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সৌজন্যেই এই বাংলোয় থাকার সুযোগ পান লালু। পুত্র তেজস্বী যাদব-সহ আরজেডির বিভিন্ন নেতা ভোটের আগে এখানে এসেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। বিহার ভোটের ফলাফল প্রকাশের দিনও এখানে বসেই লালুর টিভিতে চোখ রাখার কথা জানা গিয়েছিল। পরে হারের ইঙ্গিত পেয়ে বাংলোর লনে বসে রোদ পোহাতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেই বাগানে ঘেরা সুদৃশ্য বাংলো থেকে অবশেষে সরতে হল আরজেডির প্রতিষ্ঠাতাকে।
লালুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ঠিক কী? মঙ্গলবার সন্ধেয় এক টুইটে বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি (Sushil Modi) অভিযোগ করেন, লালু রাঁচি থেকে ফোন করে এনডিএ বিধায়কদের মন্ত্রিত্বের লোভ দেখিয়ে তাঁদের পক্ষে আসার প্রস্তাব দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে একটি অডিও ক্লিপও তিনি শেয়ার করেন। দাবি, ওই ক্লিপে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে লালুপ্রসাদ ও বিজেপি বিধায়ক লাল্লন যাদবকে। তিনি নিজেও ওই নম্বরে ফোন করে বিষয়টি যাচাই করে দেখেছেন বলেও দাবি সুশীলের। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ফোন করলে লালুই তা তুলেছিলেন। আমি ওঁকে জানিয়েছি, জেলে বসে এমন সস্তা খেলা খেলো না। তুমি সফল হতে পারবে না।’’
লালুর কীর্তির সেই অডিও ক্লিপ সামনে আসতেই তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ঝড়খণ্ড জেল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের আইজি (জেল) বীরেন্দ্র ভূষণ। একজন বন্দির কাছে কীভাবে মোবাইল পৌঁছল, তা খতিয়ে দেখা হবে। এই বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.