সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৩ বছর আগে নিজের সদ্যোজাত সন্তানকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল এক মহিলার বিরুদ্ধে। নিম্ন আদালত এবং হাই কোর্টে সাজা দেয় তাঁকে। শনিবার সেই মহিলাকেই বেকসুর খালাস করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। নিম্ন আদালত এবং ছত্তিশগড় হাই কোর্টের রায় খারিজ করে শীর্ষ আদালত জানাল, উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ ছাড়াই সাজা দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তকে। গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলেও মত আদালতের।
ঘটনাটি ছত্তিশগড়ের একটি গ্রামের। স্বামী পরিত্যক্তা মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। সেই সূত্রে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এই বিষয়টি লোকাতেই ২০০৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর নিজেরই সদ্যোজাত সন্তানকে গ্রামের একটি জলায় ছুড়ে ফেলে হত্যা করেন। মহিলার বিরুদ্ধে মামলা হলে নিম্ন আদালত খুনের অভিযোগে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে। ছত্তিশগড় হাই কোর্টও নিম্ন আদালতের পক্ষে সায় দিয়ে যাবজ্জীব কারাদণ্ডের সাজা দেয়। যদিও সুপ্রিম কোর্ট সম্পূর্ণ অন্য কথা বলল।
সম্প্রতি বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চে আবেদন করেন সাজাপ্রাপ্তা মহিলার আইনজীবী। তিনি জানান, যাঁরা এই মামলায় সাক্ষী দিয়েছেন, তাঁদের কারও সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল না মহিলার। এমনকী যিনি মহিলার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন, সেই জয়মঙ্গল সিংহের সঙ্গেও খারাপ সম্পর্ক ছিল। ফলে তাঁদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
মহিলার আইনজীবী আরও দাবি করেন, মক্কেল সন্তানসম্ভবা জানার পরেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। জোরপূর্বক তাঁকে কিছু ওষুধ খাওয়ান হয়েছিল। এর ফলে গর্ভপাত ঘটে যায়। এর পর এক সদ্যোজাতের দেহ উদ্ধারের খবর মিলতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মহিলাকে ফাঁসানো হয়েছিল। শুনানি শেষে নিম্ন আদালত এবং ছত্তিশগড় আদালতের রায়ের সমালোচনা করেন বিচারপতিরা। মহিলাকে বেকসুর খালাসের রায় শোনায় সুপ্রিম কোর্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.