সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট চাইতে ধর্মের ব্যবহার কি দুর্নীতির পর্যায়ভুক্ত, এ প্রশ্নই তুলল দেশের সর্বোচ্চ আদালত৷ কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের পক্ষে কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের ধর্মগুরুর ভোট চাওয়া কতটা সঙ্গতিপূর্ণ? তা কি দুর্নীতির গোত্রভুক্ত হবে নাকি স্বাভাবিক নির্বাচনী আইনে অনুমোদিত হবে এই সংশয়ই উঠে এল সুপ্রিম কোর্টে৷
চলতি এক মামলার প্রেক্ষিতেই ওঠে এই প্রসঙ্গ৷ ১৯৯৫ সালের হিন্দুত্ব সম্পর্কিত এক রায়ের পুনর্বিবেচনার ক্ষেত্রে নতুন করে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়৷ তাতে সর্বোচ্চ আদালতের প্রশ্ন, ধর্মের নামে ভোট চাওয়াটা কি স্বাভাবিক নাকি তা দুর্নীতি হিসেবে ধরা হবে? প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন এক বেঞ্চ অবশ্য কাউকে উদ্দেশ্য না করেই সাধারণভাবে এ প্রশ্ন তোলে৷ একজন নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষ কি অন্য ধর্মের প্রার্থীর জন্যও ভোট চাইতে পারেন, এ প্রশ্নও উঠে আসে পাশাপাশি৷ যদি ভোটপ্রার্থী হিন্দু হন, তবে তিনি কি মুসলিম ব্যক্তিকে ব্যবহার করে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ভোট চাইতে পারেন, বা উল্টোটাও কি হতে পারে? কোনও ধর্মগুরুর বক্তৃতার অংশ ব্যবহার করে যদি কোনও প্রার্থী নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রভাবিত করেন তাহলে তিনিও কি কিছু ভুল করছেন! এ ধরনের প্রশ্নই উঠে আসে এক মামলার প্রেক্ষিতে৷ বিজেপি এক নেতার মুক্তির জন্য সওয়াল শুরু করেছিলেন প্রবীণ অ্যাডভোকেট অরবিন্দ দাতার৷ তারপরই বিচারকমণ্ডলী একের পর এক প্রশ্ন তোলে ঘটনার প্রেক্ষিতে৷ যদিও এই মর্মে এখনও কোনও স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি৷ তবে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে সর্বোচ্চ আদালত যদি নির্দিষ্ট বিধি প্রণয়ন করে, তবে দেশের নির্বাচনী প্রচারের প্রক্রিয়া বদলে যেতে পারে বলে মত অভিজ্ঞমহলের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.