রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: বিজেপির রথযাত্রার অনুমতি দিল না সুপ্রিম কোর্ট৷ স্পষ্ট ভাষায় শীর্ষ আদালত জানিয়েদিল, গেরুয়া শিবিরের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকার যে অশান্তির আশঙ্কা করছে, তা অমূলক নয়৷ অশান্তি হতে পারে৷ ফলে এই কর্মসূচি করা যাবে না৷ বরং, রাজ্য সরকার অনুমতি দিলে, মিটিং মিছিল করতে পারবে বিজেপি৷ তাতে কোনও প্রকারের আপত্তি নেই৷
[বঙ্গসংস্কৃতিকে চেনাবে উনিশের ব্রিগেড, চাইছেন মমতা ]
পাশাপাশি, দেশের শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছে, গেরুয়া শিবিরকে রথযাত্রা একান্ত করতেই হলে, রাজ্যের কাছে পুনরায় আবেদন করতে হবে তাঁদের৷ নয়া সূচি জমা দিতে হবে গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বকে৷ রাজ্য সরকার অনুমতি দিলে কর্মসূচি পালন করতে পারবে বিজেপি৷ শীর্ষ আদালতের এই রায় স্বভাবতই হতাশ করেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বে৷ কারণ, শীর্ষ আদালতের এই রায়ের উপর অনেকটাই নির্ভর করছিল বিজেপির নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচি৷ পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে৷ সে বিষয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন বিজেপি নেতারা৷ সূত্রের খবর, রথযাত্রার বিকল্প সভা ও জনসভার পরিকল্পনা করছে গেরুয়া শিবিরের নেতারা৷ বিশেষ করে কেন্দ্রীয় নেতাদের এ রাজ্যে নিয়ে এসে বড় ধরনের জনসভা করতে চাইছেন তাঁরা৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির, সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের পাশাপাশি, নীতিন গড়করি, রাজনাথ সিং, যোগী আদিত্যনাথদের পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে এসে লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছেন রাজ্য বিজেপি নেতারা৷
[বাড়ছে ‘সাইবার যুদ্ধে’র আশঙ্কা, নয়া এজেন্সি গঠন করতে চলেছে সেনা]
মনে মনে হতাশ হলেও শীর্ষ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা৷ তিনি জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ মেনেই পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা হবে৷ পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধীদের শেষ করার চেষ্টা করছে তৃণমূল সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী। এটা তৃণমূলের দেউলিয়া রাজনীতি। আদালতে তৃণমূল কংগ্রেসের তৈরি গোয়েন্দা রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। পরিকল্পিত গোয়েন্দা রিপোর্ট দিয়ে আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছে। আদালতও কিছুটা বিভ্রান্ত হয়েছে। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, এই রায়ের পরই সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব৷ তাঁর নির্দেশ মতোই পরবর্তী রণকৌশল নির্ধারিত হবে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.