সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টেও জামিন পেলেন না অসমের কৃষক নেতা অখিল গগৈ (Akhil Gogoi)। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়ে যায় তাঁর জামিনের আরজি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে গুয়াহাটি সেন্ট্রাল জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি। অখিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অসমে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী (CAA) আন্দোলনে হিংসায় উসকানি দেওয়ার।
গত ৭ জানুয়ারি গুয়াহাটি হাই কোর্টে খারিজ হয়ে গিয়েছিল অখিলের জামিনের আবেদন। এরপরই সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেখানেও খারিজ হল জামিনের আবেদন। তবে বিচারপতি এনভি রামানা, সূর্যকান্ত ও অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চ জানিয়েছে, বিচার শুরু হওয়ার পরে ফের শীর্ষ আদালতে জামিনের আবেদন করতে পারেন অখিল। তার আগেই বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এই মুহূর্তে এই পিটিশনে সাড়া দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
গত ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় ‘কৃষক মুক্তি সংগ্রাম পরিষদে’র নেতা অখিলকে। সেই সময় অসম উত্তাল সিএএ বিরোধী আন্দোলনে। আইনশৃঙ্খলার নাগাড়ে অবনতি হওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জোরহাট থেকে অখিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অসমের নাগরিক সমাজ দীর্ঘ সময় ধরে গগৈয়ের মুক্তির দাবি জানিয়ে এসেছে। কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও জেলবন্দি রয়েছেন তিনি।
বরাবরই নানা সামাজিক ইস্যুতে সরব থাকা অখিল আন্না হাজারের দুর্নীতিমুক্ত ভারত গড়ার আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু আন্দোলনকারীদের একাংশ নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার সিদ্ধান্ত নিলে তিনি আন্দোলন থেকে বেরিয়ে আসেন। ২০১০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ তোলে অসম সরকার। সেই অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অখিল ঘোষণা করেছিলেন, তিনি বামপন্থী হলেও মাওবাদী নন। বরং মার্ক্সের মতবাদকে মেনে চলেন। যেহেতু মাওবাদীরা গণ আন্দোলনে বিশ্বাস করে না তাই তিনি তাদের সঙ্গে নেই। পরে ২০১৫ সালে দেশজুড়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাত অসম থেকে। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। পরিস্থিতি ক্রমে হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। সেই সময়ই গ্রেপ্তার করা হয় অখিলকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.